যেমন দেখা গেলো পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ

এক সরলরেখায় মিশেছে চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী। সোমবার মেক্সিকোর মাজাটলান শহরে তোলা ছবি।

অবশেষে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ‘দ্য গ্রেট নর্থ আমেরিকান এক্লিপস’ প্রত্যক্ষ করলেন উত্তর আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর বাসিন্দারা।

সোমবার বেলা ১১টা ৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৭মিনিটে) মেক্সিকোর পশ্চিম উপকূল থেকে প্রথম আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। এর একঘন্টা পর মেক্সিকোর উপকূলীয় শহর মাজাটলান থেকে প্রথম দেখা গেলো পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় দিনের বেলা হলেও কিছুক্ষণের জন্য নেমে আসে রাতের আঁধার।

মেক্সিকোর পর যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্য থেকে সূর্যগ্রহণ দৃষ্টিগোচর হতে থাকে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্থান থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। তবে সবখানে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের পর কানাডায় সূর্যগ্রহণ দৃশ্যমান হওয়ার কথা। দেশটির অন্টারিও প্রদেশ থেকে সবার আগে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।

তিন দেশের যেসব অঞ্চল থেকে সূর্যগ্রহণ সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে, কয়েক দিন ধরেই সেসব এলাকায় ভিড় করছিলেন কৌতূহলী ও উৎসুক মানুষজন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, প্রায় চার কোটি মানুষ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ স্বচক্ষে দেখতে বিভিন্ন এলাকায় সমবেত হয়েছিলেন।

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে ১০ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে মেক্সিকোর মাজাটলান শহরে এসেছেন লরদেস কারো (৪৩)। আরও হাজারো মানুষের সঙ্গে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখেছেন তিনি। লরদেস বলেন, ‘সর্বশেষ যখন সূর্যগ্রহণ দেখি তখন আমার বয়স ৯। আবার কবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে পাব জানি না। তাই এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।’

টিম রাস্ট নামের ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি বলেন, ‘সর্বশেষ যখন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হয় সে সময় আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। তাই প্রত্যাশা অনুযায়ী পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে পারিনি। তবে এবার ছিল পুরো পূর্ণগ্রাস।’

এর আগে কানাডায় এ রকম সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। মেক্সিকোতে ১৯৯১ সালের ১১ জুলাই ও যুক্তরাষ্ট্রে শেষ এ রকম সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট।

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের এ ক্ষণকে গাঁটছড়া বাঁধার জন্য বেছে নিয়েছিলেন তিন শতাধিক জুটি। যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের রাসেলভিলেতে এই গণবিয়ের আয়োজন করা হয়।