যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি যুবকের বিরুদ্ধে ‘ওয়ারেন্ট’

গৌরব সাঞ্জারি

নারী নির্যাতনের দায়ে ‍যুক্তরাষ্ট্রে এক বাংলাদেশি যুবকের বিরুদ্ধে ‘বেঞ্চ ওয়ারেন্ট’ জারি করেছে দেশটির আদালত। এছাড়া ‘বেঞ্চ ওয়ারেন্টের’ কপি পাঠিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে। গৌরব সাঞ্জারি নামের ওই যুবক যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন বিমানবন্দর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে গৌরব সাঞ্জারির বিরুদ্ধে ৮টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন নিউজার্সির ক্যামডেন সুপরিয়র আদালত।

নিউজার্সির ক্যামডেন কাউন্টির প্রসিকিউটর গ্রেস সি. ম্যাকওলে জানান, আদালতের জারি করা ৮টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পলাতক আসামি গৌরব সাঞ্জারিকে ধরতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষদেরকে অবহিত করা হয়েছে।

নিউজার্সির বার্লিন টাউনশীপ পুলিশ ডিপার্টমেন্টের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট এড গ্রামলি জানান, গৌরব সাঞ্জারি তার অধিনস্ত এলাকা ওয়েস্ট বার্লিনে স্ত্রীর সাথে বসবাস করতেন। দেশে পালিয়ে যাবার আগে বেশ কয়েকবার স্ত্রীকে মারধর করেন। ২০২২ সালের ২৪ জুলাই তার স্ত্রী কনিকাকে ব্যাপক মারধর করেন এবং হত্যাচেষ্টা করেন। এসব নিয়ে তার বিরুদ্ধে নিউজার্সির বার্লিন টাউনশীপ পুলিশের কাছে বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ তাকে গ্রেপ্তারের দুইদিন পর জামিনে বের হন।

গৌরবের স্ত্রী কনিকা মজুমদার বলেন, গৌরব সাঞ্জারি চট্টগ্রামের জুবলি রোডের বাসিন্দা শিবু শীলের ছেলে। যুক্তরাষ্ট্রে পুনরায় গ্রেপ্তারের ভয়ে নিউইয়র্কে কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার পর প্রায় ১ বছর আগে তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে যান। সেখান থেকেই আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নভেম্বরে আমেরিকায় যাওয়ার পথে কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউইয়র্কগামী একটি ট্রানজিট (সংযোগ) বিমানে গৌরব-কনিকার দেখা হয়। ওই সময় বোর্ডিং লাইনে গৌরব ও তার মা ছবি শীলের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল কনিকা মজুমদারের। এরপর ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গৌরব-কনিকার বিয়ে হয় তাদের।