যুক্তরাষ্ট্রে আবারও বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুইজন শিক্ষার্থী। স্থানীয় সময় সোমবার (২৩ জানুয়ারি) উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে পৃথক তিনটি গোলাগুলির ঘটনায় এসব প্রাণহানি হয়।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া এবং আইওয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক সহিংসতার পৃথক এই ঘটনা ঘটে। চীনা নববর্ষ উপলক্ষে লস অ্যাঞ্জেলেসে আয়োজিত একটি নৃত্য অনুষ্ঠানে বন্দুক হামলার ৪৮ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে এই ঘটনা ঘটল। লস অ্যাঞ্জেলেসের ওই ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছিলেন।
এএফপি বলছে, ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ফ্রান্সিসকো শহরের দক্ষিণে অবস্থিত খামারে দু’টি গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। এতে সাতজন নিহত ও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার হাফ মুন বে-তে গোলাগুলির বিষয়ে সান মাতেও কাউন্টি শেরিফ টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বলেছেন, ‘সন্দেহভাজন অপরাধীকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। এখন ওই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য কোনও হুমকি নেই।’
অন্যদিকে আইওয়াতে স্টার্টস রাইট হিয়ার নামক স্কুলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এই স্কলে ঝুঁকিপূর্ণ যুবকদের জন্য শিক্ষামূলক মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। গোলাগুলির ওই ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর।
বার্তাসংস্থা এএফপিকে ডেস মইনেস পুলিশ বিভাগের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘নিহত দুজনই ছাত্র। তারা হাসপাতালে মারা গেছে। এই ঘটনায় আহত তৃতীয় ব্যক্তি ওই স্কুলের একজন কর্মচারী এবং তার অবস্থা গুরুতর।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সাধারণ নাগরিকদের আগ্নেয়াস্ত্র সহজে হাতে পাওয়ার বিষয়ে মার্কিন রাজনীতিতে উত্তেজনাপূর্ণ বিতর্কের মধ্যেই একের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।
গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ ওয়েবসাইট অনুসারে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে গণহারে গুলি চালানোর ৬৪৭টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় একজন বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত চারজন নিহত বা আহত হয়েছেন।
এএফপি বলছে, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৪৪ হাজারেরও বেশি মানুষ গুলির আঘাতে মারা গেছেন। যার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ছিল আত্মহত্যা।