যুক্তরাষ্ট্রে তুষার ঝড়ে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। তবে আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে ১৮ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এবারের ঝড়টি গত কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী ছিল। ঝড়ের কারণে তিন হাজারেরও বেশি মার্কিন ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এতে করে ক্রিসমাসের আগমুহূর্তে হাজার হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন।
ট্র্যাকিং সাইট পাওয়ারআউটেজ.ইউএস-এর মতে, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কমপক্ষে তিন লাখ বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন ছিল। এর আগের দিন বিদ্যুৎহীন ছিল ১.৮ মিলিয়ন গ্রাহক।
এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি উন্নতি করতে অনেক ইলেকট্রিক কোম্পানি জনগণকে বড় যন্ত্রপাতি না চালাতে বলেছে। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় লাইট বন্ধ করে শক্তি সংরক্ষণ করতে বলেছে।
ঝড়ের প্রভাবে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে নিউইয়র্কের বাফেলো শহরের বাইরে দুইজন পাওয়া গেছে, যেখানে উদ্ধার কর্মীরা পৌঁছাতে পারেনি।
এরি কাউন্টি এক্সিকিউটিভ মার্ক পোলোনকারজ বলেছেন, বাফেলোতে আরো একজনেরও মৃত্যু হয়েছে। এবারের তুষার ঝড়টি এই অঞ্চলের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ঝড় হতে পারে।
তিনি বলেন, তুষারের কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারস্থলে যেতে অ্যাম্বুলেন্সগুলোর বাড়তি সময় লাগছে। এখনও শত শত মানুষ তাদের যানবাহনে আটকে আছে।
তিনি যোগ করেন, ন্যাশনাল গার্ডকে উদ্ধার কাজের জন্য সরাসরি বাফেলো শহরে পাঠানো হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের (এনডব্লিউএস) মতে, ২০ কোটির বেশি মার্কিন নাগরিক আবহাওয়া সতর্কতার অধীনে ছিলেন। কারণ, হিমবাহের কারণে তাপমাত্রা ৫৫ ফারেনহাইটের (-৪৮ সেলসিয়াস) কাছাকাছি ছিল।