যুক্তরাষ্ট্রে আবারও পুলিশের অমানবিক বর্বরতার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ফুটপাথের উপর ফেলে সাউথ ক্যারোলিনার গুজ ক্রিকের বাসিন্দা রান্ডাল ওরচেস্টারকে (২৭) ঠেসে ধরেছেন তিন পুলিশকর্মী। মুখে ঘুসি ও পেটে লাথি মারতেও দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরাকানসাস অঙ্গরাজের মার্লবেরি শহরে বর্বরতার এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় তিন পুলিশকর্মীকে সোমবার (২২ আগস্ট) বরখাস্ত করা হয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ঘটনাটি গত রোববারের। গ্রেপ্তারের সময় তিন পুলিশকর্মী নৃশংসভাবে মারধর করেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে। অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে দু’জন জন ক্রফোর্ড কাউন্টি শেরিফের বাহিনীর এবং অন্যজন মার্লবেরি শহর পুলিশ বিভাগের কর্মী।
ক্রফোর্ড কাউন্টি শেরিফের দপ্তরের তরফে সোমবার জানানো হয়েছে, আরাকানসাসের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আরকানসাসের গভর্নর অ্যাসা হাচিনসন এবং মার্লবেরির মেয়র গ্যারি ব্যাক্সটর জানিয়েছেন, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে, দোষীরা রেহাই পাবে না।
এর আগে ২০২০ সালের ২৫ মে জাল নোট ব্যবহারের অভিযোগ এনে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা জর্জ ফ্লয়েডকে ২০২০ সালের ২৫ মে আটক করে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের পুলিশ। আটকের পর ফ্লয়েডের ঘাড় হাঁটু দিয়ে সড়কে চেপে ধরেন চৌভিন। এ সময় ফ্লয়েড বলতে থাকেন, ‘দয়া করুন, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। আমাকে মারবেন না।’
এক পথচারী ওই সময় ফ্লয়েডকে ছেড়ে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ফ্লয়েডকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জর্জ ফ্লয়েড মিনিয়াপোলিস শহরের একটি রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
এই হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশি নির্মমতা ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন স্থানে লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। এ ছাড়া পরবর্তীকালে এ আন্দোলন ও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।