যুক্তরাজ্যে আগামী পাঁচ বছরের জন্য হাউস অব কমন্সের ৬৫০ জন এমপিকে (পার্লামেন্ট সদস্য) বেছে নেওয়ার সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় (স্থানীয় সময়, বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ১৫ ঘণ্টা চলবে এ ভোট, রাত ১০টায় এটি শেষ হবে।
এবারের সাধারণ নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হচ্ছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি এবং বিরোধী লেবার পার্টি। তবে নির্বাচনে কেয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি রেকর্ড ভাঙা জয় পেতে যাচ্ছে বলে স্বীকার করেছে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা দল কনজারভেটিভ পার্টি।
এ নির্বাচনে ঋষি সুনাক তার নিজের আসন হারানোর বিষয়ে উদ্বিগ্ন বলে জানা গেছে। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্টের।
এবারের নির্বাচনে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। যার মধ্যে ৩৫টি রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র একজন করে।
সারভেশনের নির্বাচন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পার্লামেন্টের ৬৫০ আসনের মধ্যে অন্তত ৪৮৪টিতে জয়লাভ করতে পারে লেবার পার্টি, যা ১৯৯৭ সালে টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বাধীন লেবারের ৪১৮ আসনে জয়ের চেয়েও বেশি। সেবার ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আসনে জয়ের অনন্য কীর্তি গড়েছিল লেবার পার্টি। অপরদিকে কনজারভেটিভ পার্টি মাত্র ৬৪ আসনে জয় পাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
যদি এ ধারণা সঠিক হয়, তাহলে ১৮৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কনজারভেটিভ পার্টি তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম আসনে জয় পাওয়ার লজ্জায় পড়বে।
২০১০ সালের নির্বাচনে ৪ হাজার ১৫০ জন প্রার্থীর রেকর্ড ভেঙে এবার ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী হয়েছেন। একেকটি আসনে গড়ে ৭ জন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩১৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ৪৫৯ জন।
অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক অংশ নিচ্ছেন। এবার ২৩ জন ব্রিটিশ বাংলাদেশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। এ ছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিচ্ছেন ১১ জন। অর্থাৎ ৩৪ জন ব্রিটিশ বাংলাদেশি এবার যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।