যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনে সেবার ফি বৃদ্ধি, প্রবাসীদের ক্ষোভ

ফাইল ছবি

নো ভিসা রিকোয়ার্ড (এনভিআর)সহ চারটি সেবার ফি বাড়িয়েছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন। হঠাৎ করে ফি বৃদ্ধিতে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিট্রিশ এমপি আপসানা বেগম নো ভিসা রিকোয়ার্ডসহ চার‌টি সেবার ফি বৃ‌দ্ধি পুনর্বি‌বেচনার দাবি জানিয়ে হাইকমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।

সম্প্রতি ব্রিটেনে বিদেশি পাস‌পোর্টধারী‌দের বাংলা‌দেশ ভ্রম‌ণে নো ভিসা রিকোয়ার্ড ফি ৪৬ পাউন্ড থেকে বাড়িয়ে ৭০ পাউন্ড করা হয়।

এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের নাগ‌রিকত্ব ত্যাগ, দ্বৈত নাগ‌রিকত্ব ও পু‌লিশ ক্লিয়া‌রেন্স সেবার ফি বাড়ানো হয়। নো ভিসা, নাগ‌রিকত্ব ত্যাগ, দ্বৈত নাগ‌রিকত্ব ও পু‌লিশ ক্লিয়া‌রেন্স এ চার‌টি সেবার বর্ধিত ফি ১৭ ডিসেম্বর  থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে ২০১১ সালে নো ভিসা রিকোয়ার্ডসহ অন্যান্য সেবার ফি বাড়িয়েছিল হাইকমিশন। ফি বর্ধিত করার খবর ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাঁরা সেবার ফি বৃ‌দ্ধি স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন।

ব্রিট্রিশ এমপি আপসানা বেগম হাইকমিশনারকে চিঠিতে বলেন, নো ভিসা রিকোয়ার্ড (এনভিআর) ফি বাড়ানোর হয়েছে তা অনেক বেশি। প্রবাসীরা এতে ভোগান্তিতে পরবেন। এ বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানান তিনি।

যুক্তরাজ্যের লিডসের বাসিন্দা শাহ জাহান আহমদ বলেন, এক ঘোষণায় ২৪ পাউন্ড নো ভিসা রিকোয়ার্ড ফি বাড়ানো হয়েছে। এটা প্রবাসীদের সঙ্গে জুলুম করা হচ্ছে। আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব। অনেকেই দেশে যাওয়ার আগ্রহ হারাবে।

লন্ডনের সলিসিটর আব্দুর রকিব বলেন, লন্ডনের হাইকিমশন এক দিনের মধ্যেই ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। এটার প্রভাব পড়বে। কোন সভ্য দেশে এত দ্রুত কোন নোটিশ ছাড়াই ফি বাড়ানো যায় না। বাংলাদেশ সরকার অন্যভাবে রাজস্ব বাড়াতে পারতো। আমি ব্যক্তিগতভাবে ফি বাড়ানোর কারণ জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছি।