প্রচন্ড গরমে যুক্তরাজ্যের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। শীত প্রধান এই দেশটিতে গরমের জন্য সারা বছর সাধারণ মানুষ অপেক্ষা করলেও চলতি বছরে গরমে ছোটবড় সবার হাঁসফাঁস অবস্থা। পরিস্থিতি সামাল দিতে যুক্তরাজ্যে আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।
ধারণা করা হচ্ছে, সোম ও মঙ্গলবার দেশটিতে সর্বোচ্চ ৪০ডিগ্রীর কাছাকাছি তাপমাত্রা থাকবে।
২০১৯ সালে কেমব্রিজে তাপমাত্রা ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে রেকর্ড তাপমাত্রা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাপদাহ এবার পুরাতন রেকর্ড ভেঙে যাবে। সোম ও মঙ্গলবার দেশটির লন্ডন, ম্যানচেস্টার, ইয়র্কে সর্বোচ্চ তাপদাহ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিস। এছাড়া বার্মিংহাম, লিডর্স, কার্ডিফ, নটিংহ্যামসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় তাপদাহ বেশি থাকবে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি অবস্থার পাশাপাশি শিশুদের স্কুল বন্ধ রাখা, দ্রুত ছুটি দেয়া ও অনেক হাসপাতালে রোগী দেখার ও খেলাধুলার সময়সূচী স্থগিত করা হয়েছে।
মিল্টনকিংসের বাসিন্ধা ডিলাভ দা কস্তা বলেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার দেশে ভয়াবহ গরম চলছে। প্রচন্ড সূর্যের তাপে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অন্যবার গরমের সময়ে কিছুটা ঠান্ডা বাতাস থাকলেও এবার তাও দেখছি না।
লুটনের বাসিন্দা সুলতানা বেগম বলেন, গত কয়েক সপ্তাহের টানা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গরমের তীব্রতায় সবার হাঁসফাঁস অবস্থা। ঘরের মধ্যেও গরম, বাইরে গেলেও গরম।
সারির ডরকিং পার্কগেট এলাকার বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান মান্না বলেন, গরমে কাজ করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাংলাদেশের মতই গরম এখানে।
যুক্তরাজ্যের অনলাইন গণমাধ্যম টুএ নিউজের সম্পাদক আব্দুল হান্নান বলেন, তাপদাহ পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার দুই দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে, এছাড়া বিভিন্ন দপ্তর পরিস্থিতি মোকাবেলায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে।