যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে স্মারকলিপি দিলেন পরিবহন নেতারা

সিলেট-তামাবিল সড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেট জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) এই স্মারকলিপি প্রদান করে সিলেটের পরিবহন সংশ্লিষ্ট সংগঠনটি।

স্মারকলিপিতে পরিবহন নেতারা অভিযোগ করেন, সিলেট-তামাবিল সড়কের দরবস্ত এলাকায় চলাচলকৃত বাস আটকে যাত্রী নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা হলেও প্রতিকার মিলছেনা। এমন অবস্থায় আগামী শনিবার পর্যন্ত যদি পরিস্থিতির উত্তরণ না হয় তাহলে কেন্দ্রীয় মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।

স্মারকলিপিতে গত ৭ জুলাই সিলেট-তামাবিল সড়কে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন পরিবহন নেতারা।

উল্লেখ্য, বিগত ৭ জুলাই জৈন্তাপুরের দরবস্ত এলাকায় সংগঠিত দুর্ঘটনায় ৫ নিহতের ঘটনায় স্থানীয়রা সেদিন রাত থেকেই সিলেট-তামাবিল সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এর একদিন পর একই রুটে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। তবে এতেও টলানো যায় নি বৃহত্তর জৈন্তাপুর এলাকার ১৭ পরগণা সালিশ কমিটিকে। পরিবহন নেতাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ তিন দফা শর্ত আরোপ করেন যান চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য। এতে ক্ষুব্ধ পরিবহন নেতারা বুধবার জেলাজুড়ে পরিবহন ধর্মঘটের ডাকদিলে জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। তবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের পরও ১৭ পরগণা সালিশ কমিটি তাদের পুরনো অবস্থানেই আছে। তাদের শর্ত না মানলে ১৭ পরগণার অন্তর্ভূক্ত তিন উপজেলার মানুষকে বাস চড়া থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যা গত দুদিন থেকেই চলছে।

তবে এসবের কারণ হিসেবে জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কামাল আহমদকে দুষছেন পরিবহন নেতারা।