স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সুনামগঞ্জে সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে। তাদের প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তারা এখানেই থাকবে। যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন তারা থাকবে এবং মানুষের সেবা করে যাবে।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) দুপুরে সুনামগঞ্জে বন্যাপরবর্তী আইনশৃঙ্খলা ও ত্রাণ কার্যক্রমসহ আর্থিক বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আসলে যতক্ষণ খবর পাচ্ছিলাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় পানি বাড়ছে, তখন এত তড়িৎ গতিতে যে পানি বেড়ে যাবে এটা আমাদের অভিজ্ঞতায় ছিল না। আসলেই এটি স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। আসলে এমন বন্যা হলে কিছু থাকে না, মানুষের বাড়ি-ঘর ডুবে যায়। ১৯৮৮, ১৯৯৮ ও ২০০৪ সালের বন্যা আমরা মোকাবেলা করেছি।
তিনি বলেন, আমি যখন জানতে পারলাম খারাপ অবস্থা, তখনই ডিআইজির সাথে কথা বললাম। তিনি বললেন- তিনিও পানির নিচে। তখন জানতে পারলাম বিদ্যুৎ চলে গেছে। সেই সময় আমি বিজিবির সিওকে বললাম আপনি দ্রুত চলে যান এবং উদ্ধার তৎপরতা চালান। পুলিশও উদ্ধার শুরু করেছিল। তবে তাদের প্রস্তুতি ছিল না। কারণ স্পিডবোট ছিল না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিলেন সেনা, নৌ, কোস্টগার্ডকে সচল করে সেখানে পাঠিয়ে দাও। আমরা দ্রুত তাদের চলে যেতে বলি। আমরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছি এবং মানুষের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় বন্যা মোকাবেলায় আমরা প্রত্যেক থানায় ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা স্পিডবোটের ব্যবস্থা করে দেব। এছাড়া আপনারা বলেছেন সুনামগঞ্জে কোস্টগার্ড এর কার্যালয় করার জন্য। কিন্তু এটি হবে না। কারণ তারা উপকূলে থাকবে। তাদের নীতিমালা উপকূলকে ঘিরে। তবে এটা বলতে পারব, যখনই প্রয়োজন হবে আমরা কোস্টগার্ড পাঠিয়ে দেব। এবার আমরা যেমনটা করেছি। সেনাবাহিনী এখানে এসেছে, নৌ বাহিনী এসেছে, ঠিক তেমনি যখনই প্রয়োজন হবে কোস্টগার্ড পাঠিয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, সুনামগঞ্জে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি বাড়ানোর যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সেটি আমরা করে দেব। বর্ষা মৌসুমে আমরা এখানে ডুবুরি দল বাড়িয়ে দেব।
জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ প্রমুখ।