মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা সারা দেশের এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আজ শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিচের দিকে থাকায় সকাল সকাল সূর্য উঠলেও অনেক বেলা পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে গত বুধবার থেকে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলের জনজীবন। সন্ধ্যার আগ থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত হাড় কাঁপানো শীতে কষ্ট পাচ্ছে নিম্ন আয়ের খেতে খাওয়া মানুষেরা।
তবে এই শীতে শ্রীমঙ্গলে চা–বাগানের শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের লোকজন বেশি কষ্ট পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলার খাইছড়া চা–বাগানের শ্রমিক পুষ্প পাইনকা বলেন, ‘বাগানে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা। রাতের বেলা চা–বাগানে ভীষণ শীত পড়ে। আমরা অনেক কষ্ট করে থাকি। বেসরকারিভাবে আমাদের এলাকায় কিছু মানুষ শীতের পোশাক পেয়েছে। সরকার থেকে দিলে বাকিরাও পেত। চা-শ্রমিকেরা শীত থেকে বাঁচতে আগুন পোহাচ্ছেন।’
মৌলভীবাজার শহরের শিক্ষক জাবিদুর রহমান বলেন, শীতে জবুথবু অবস্থা। প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে গেলে হাত-পা ঠান্ডায় জমে যায়। এবারের টানা শীতে জনজীবনে অনেকটা বিপর্যয় নেমে এসেছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, আজ শুক্রবার দেশের শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, এ উপজেলায় এমনিতেই অনেক শীত। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতজনিত কষ্ট ও দুর্দশা লাঘবে প্রধানন্ত্রীর পক্ষ থেকে কম্বল বরাদ্দ এসেছে।