মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) আসনে ৭ বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণার সময় মো. আব্দুস শহীদ এর নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে পরপর ৬ বার উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে সরকার দলীয় চিফ হুইপসহ গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ মৌলভীবাজার-৪ আসন থেকে ১৯৯১ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে এরপর ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯১ সালে আব্দুস শহীদের সঙ্গে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমানের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।
২০০৯-২০১৪ পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, ২০০১- ২০০৬ পর্যন্ত সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ এবং ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত জাতীয় সংসদে হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি সংসদের বিভিন্ন পদের দায়িত্বে ছিলেন ২০০১-২০১৯ পর্যন্ত। তিনি জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি দশম সংসদে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, সংসদ কমিটি, পিটিশন কমিটি ও কার্যপ্রণালী বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটিরও তিনি সদস্য হিসেবে দায়ীত্ব পালন করেন।
উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক ভিশন হচ্ছে নির্বাচনী এলাকার গণমানুষের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায় ও তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখা। নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করা। দক্ষতার সাথে নির্বাচনী এলাকা ও সংসদে কাজ করেছেন বলেও দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রার্থী বাছাই কমিটির তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন। এজন্য তাঁদের কাছে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
৭ বারের মতো দলীয় মনোনয়ন লাভের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমার এলাকার প্রিয় নেতাকর্মী ও জনগণের দোয়া-আশীর্বাদ এবং ভালোবাসা ও শুভ কামনার ফসল আওয়ামী লীগের এই মনোনয়ন।’