মৌলভীবাজারে শিক্ষার্থীদের ৩ দাবী নিয়ে সিএসএফের স্মারকলিপি

মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব চত্বরে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনসহ শিক্ষার্থীদের ৩ দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সাইবার সেফটি ফার্স্ট বাংলাদেশ টিম।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মৌলভীবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র প্রেসক্লাব চত্বরে (হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর টার্নিং পয়েন্টে) কোনো ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন না থাকায় ড্রাইভাররা সড়ক আইন বার বার ভঙ্গ করছেন। ল্যান পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও তারা নির্দিষ্ট নিয়ম মানছেন না। নিজেদের খেয়ালখুশি মতো হঠাৎ করেই এক ল্যান থেকে অন্য ল্যানে চলে যাচ্ছেন। যার ফলে কলেজ শিক্ষার্থী সহ পথচারীদের রাস্তা পারাপার সহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আর ড্রাইভারদের এসব অনিয়মের জন্য ছোট খাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে। যা যেকোনো সময় বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে, জেলার কোর্ট রোডে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জর্জ কোর্ট, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় রয়েছে যার ফলে এই রোডে যানজট সহ রাস্তায় চলাচলের সমস্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

এছাড়াও ড্রাইভাররা যেখানে সেখানে ইচ্ছামতো গাড়ি পার্কিং করছে, যার ফলে সড়কে গাড়ি চলাচলের জায়গা সংকীর্ণ হচ্ছে, যা যানজটের অন্যতম একটি প্রধান কারণ।

বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে শহরের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগণের উক্ত সড়কে নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপি প্রদানে উপস্থিত ছিলেন, সিএসএফ টিমের সিনিয়র ফিল্ড অফিসার শেখ আমিরুন নেছা আলো, মো. নাজমুল হোসেন, সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, সজীব সিংহ ‌শুভ, ফারজানা তাসমিন মনি প্রমুখ।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে দাবীগুলো হলো, কলেজ পয়েন্ট ও প্রেসক্লাব চত্ত্বরে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা, যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ করা এবং পথচারীদের নিরাপদে রাস্তা চলাচল নিশ্চিত করা, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো নিয়ন্ত্রণ করা (প্রয়োজনে গতিসীমা ট্রাফিক সাইন ব্যবহার করা)।

সাইবার সেফটি ফার্স্ট বাংলাদেশ টিমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেটর কে.বি খান বিজয় বলেন, আমাদের অফিসিয়াল মেইল এবং পাবলিক গ্রুপে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে সাইবার অপরাধের শিকার হলে প্রতিনিয়ত পোস্ট করে আমাদের টিমের সহযোগিতা চান। গত ২ সপ্তাহ আগে আমাদের অফিসিয়াল মেইলে একজন শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার ৩ টি দাবি নিয়ে আমাদের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই ৩ দাবীর উপর আমাদের টিম তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্যতা যাচাই করে প্রমাণ সহ ছবি ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে রাখে। আজ শিক্ষার্থীদের দাবীগুলা ডিসি অফিসে পৌঁছে দিয়েছে সাইবার সেফটি ফার্স্ট বাংলাদেশ টিম।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ধন্যবাদ জানাচ্ছি সাইবার সেফটি ফার্স্ট বাংলাদেশ টিমকে সাইবার অপরাধ দমনের পাশাপাশি তারা সামাজিকভাবে মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করছেন। আমরা স্মারকলিপি গ্রহণ করলাম খুব দ্রুত এই ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিবো। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে সবসময় জেলা প্রশাসন ছিলো, আছে, থাকবে।