ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। আজ রোববার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মোদিসহ প্রায় ৩০ জন মন্ত্রী শপথ নেবেন। তবে পুরো মন্ত্রিসভা শপথ নেবে না। সূত্রের তথ্য মতে, মোদির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় ৭৮ থেকে ৮১ জন মন্ত্রী থাকতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদির পরে শপথ নেবেন স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী। এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো বিজেপির হাতেই থাকবে। ইস্পাত, পরিবহন, বেসামরিক বিমান চলাচল এবং কয়লার মতো মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরাও আজ শপথ নিতে পারেন।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানটি ৪৫ মিনিট স্থায়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শপথ নিতে যাওয়া মন্ত্রীরা আজ সকাল থেকে সরকারের কাছ থেকে ফোন পাবেন।
গত ১০ বছরে এবারই প্রথমবার বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি এবং সরকার গঠনের জন্য তাদের জোটসঙ্গীদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। মন্ত্রিসভার গঠনেও এর প্রতিফলন দেখা যাবে। চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি এবং নিতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড একাধিক মন্ত্রী পদের জন্য চাপ দিচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য দলগুলোকেও মন্ত্রিত্বে স্থান দিতে হবে।
বিজেপি এবার মন্ত্রীদের সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সূত্র জানিয়েছে, খুব কম সদস্যই একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবেন। নতুন মন্ত্রিসভায় নিতীশ কুমারের জেডিইউ দুটি পূর্ণ মন্ত্রীর পদ এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি চারটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারে।
নরেন্দ্র মোদি ভারতের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। এর আগে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ছিলেন।
এই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিবেশী এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলোর নেতাদের বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ডা. মোহাম্মদ মুইজ্জু, সেইশেলসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জগন্নাথ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহল প্রচন্দ এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবনের কাছাকাছি বিশাল এলাকাকে নো ফ্লাই জোনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।