প্যারিসিয়ান সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) সময়টা মৃদু মেঘের নিচ দিয়ে যাচ্ছে। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে ইতোমধ্যে বড় ঝড় পার করেছে ক্লাবটি। তবুও তার কিছুটা রেশ রয়ে গেছে বলা যায়। নইলে লিগ টেবিলের ১৫ নম্বর দল ব্রেস্তের বিপক্ষে জিততে তাদের নিশ্চয়ই এত ঘাম ঝরাতে হতো না! নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে মেসি টু এমবাপের গোলে তারা পয়েন্ট খোয়ানো থেকে কোনোমতে রক্ষা পেয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে খালি হাতে ফিরলেও ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপেরা ভালো সময়ই পার করছে। টানা কয়েক ম্যাচেই দুজনের যৌথ পারফরম্যান্সে জয় নিয়ে ফেরে পিএসজি। সর্বশেষ শনিবারের (১১ মার্চ) ম্যাচে বেশ কাঠখড় পোহাতে হলেও ফরাসি জায়ান্টরা জয়ের ধারাতেই ছিল। ৯০ মিনিটের গোলের পর মেসিরা ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে পিএসজি। ফলে প্রতিপক্ষ ব্রেস্তের রক্ষণকে বেশ ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। তখন ফরাসি ক্লাবটির লিড পাওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে ব্রেস্তের ডি-বক্সে সুবিধামতো বল পান পিএসজির কার্লোস সোলের। এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের ভলি ব্রেস্ত গোলরক্ষক মার্কো বিজোতের হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লাগে। ২৬ মিনিটে এমবাপের শট বেরিয়ে যায় পোস্টের পাশ দিয়ে। এভাবে তারা একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করেন।
ম্যাচের লিড নেওয়া গোলটি আসে ৩৭ মিনিটে। এবারও এমবাপে শট নেন। তবে সেটি ঠেকালেও বল গিয়ে পড়ে সোলের পায়ে। সেখান থেকে তিনি জোরালো শটে পিএসজিকে এগিয়ে দেন। তবে তাদের সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি। মাত্র ৬ মিনিটের মাথায় ব্রেস্ত সমতায় ফেরে। সার্জিও রামোসকে ফাঁকি দিয়ে ফরাসি উইঙ্গার ফ্রাঙ্ক অনোরাত গতিশীল শটে বল জালে জড়ান। বিরতিতে যাওয়ার আগে দু’দলের সমতা ছিল ১-১ গোলের।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমেও আক্রমণ অব্যাহত রাখে এমবাপেরা। মেসি এই ম্যাচে গোল না পেলেও তিনি বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করেন। ৫৫ মিনিটে মেসির ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট পোস্ট ঘেঁষে চলে যায়। ৬২ মিনিটে মেসির কাছ থেকে পাওয়া বলে শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এমবাপে। মেসির তৈরি করে দেওয়া সবচেয়ে ভালো সুযোগটি নষ্ট করেন নুনো মেন্দেজ। তার বাড়ানো বলটি থেকে ৭৯ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল প্যারিসিয়ানদের। কিন্তু মেন্দেজ সেটি ঠিকমতো শট নিতে পারেননি।
শেষদিকে গোলের জন্য দু’দলই মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তবে ব্রেস্তও হুট করে গতি বাড়িয়ে নেয়। সে কারণে সমান লড়াইয়ে লিড পাচ্ছিল না কেউই। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে প্রতি আক্রমণে বল পেয়ে প্রথম স্পর্শেই এমবাপেকে খুঁজে নেন মেসি। শট টাইমিং ও গতি ছিল দুর্দান্ত। ‘ওয়ান-অন-ওয়ানে’ এবার কোনো ভুল করেননি এমবাপে, গোলরক্ষককে কাটিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান তিনি।
এই ম্যাচ জয়ে ২৭ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল পিএসজি। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে মার্সেইয়ের অবস্থান দুইয়ে। ১৫ নম্বরে থাকা ব্রেস্তের পয়েন্ট ২৩।