কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচ হেরেও নিজদের গ্রুপে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২য় রাউন্ডে উঠে আসে লিওনেল মেসিরা। নক আউটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে আলবিসেলেস্তরা। তিনটি ম্যাচ জয়েরই নায়ক ছিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। নিজে গোল করেছেন সতীর্থদের দিয়েও করিয়েছেন গোল। নিজের শেষ বিশ্বকাপ তাই উজার করে দিয়ে যাচ্ছেন প্রতি ম্যাচেই।
এবার আরও একটি পরীক্ষায় ডাচদের বিপক্ষে মাঠে নামবে মেসিরা। ডাচদের হারাতে পারলেই কাতার বিশ্বকাপ শিরোপার জয়ে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে স্কালোনির দল।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মেসিকে আটকানোর জন্য তাই আলাদা কাজ করতে হচ্ছে নেদারল্যান্ডসের। আর্জেন্টাইনদের সঙ্গে প্রতিপক্ষ যে-ই থাকুক মেসিকে নিয়ে আলাদাভাবে কৌশল সাজাতে হয় প্রতিপক্ষের কোচদের। ফুটবল জাদুকরকে কৌশল করে দমিয়ে রাখাও যে কঠিন সেটি নিঃসন্দেহে স্বীকার করেন কোচরা।
তবে আজ শুক্রবারের (৯ ডিসেম্বর) ম্যাচ কোয়ার্টার ফাইনাল বলে কথা। তাই সচেতনভাবে লুইস ফন গালকে মেসিকে আটকানোর কাজটা করতে হবে।
নেদারল্যান্ডস কোচ ম্যাচ শুরুর আগে মেসিকে নিয়ে বেশ চাপ অনুভব করছেন তা অনুমেয়। তবে তার জন্য স্বস্তির বিষয় আর্জেন্টাইন তারকার একটা দুর্বলতা খুঁজে পেয়েছেন তিনি। ম্যাচের আগে গনমাধ্যমকে ফন গাল বলেন মেসি বিশ্বের অন্যতম ফুটবল তারকা। যে কোন দলের বিপক্ষে বিপদজ্জনক হয়ে উঠতে পারে মেসি। ম্যাচের যে কোন পরিস্থিতি থেকে গোল করার সামর্থ্য রয়েছে তার। তবে মেসির যে দুর্বলতা পেয়েছি সেটা কাজে লাগিয়ে আমরা তাদের হারাতে প্রস্তুত।
সংবাদ মাধ্যমে মেসির দুর্বল দিকটা সম্পর্কে ডাচ কোচ জানান, মেসি যখন নিজের পা থেকে প্রতিপক্ষের কাছে বল হারান তখন বলটা ফিরে পাবার চেষ্টা করেন না। এ দুর্বলতা আমাদের আজকের ম্যাচে কাজে লাগাতে হবে।
শুধু ডাচ কোচের ভাবনায় নয় সাবেক বার্সার এ তারকাকে আটকানোর পরিকল্পনা করছেন নেদারল্যান্ডের ডিফেন্ডার নাথান। মেসিকে নিয়ে আলাদা কাজ করছেন তিনি। ডাচ ডিফেন্ডার নাথান মনে করেন মেসিকে সব সময় প্রতিপক্ষ শিবির ম্যাচের পুরোটা সময়ে মনযোগ দেয়। এতে করে অন্য খেলোয়াড়রা সুযোগ পেয়ে যায়। আজকে আমাদের সে সব দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
২০১৪ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলেছিল আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে গোল করতে ব্যর্থ হয় উভর দল। ফলে খেলা টাইব্রেকারে যায় এবং টাইব্রেকারে ৪-২ পেনাল্টিতে ম্যাচটি জিতে যান মেসিরা। সে ম্যাচে পুরো খেলায় একটি মাত্র শট অন টার্গেট নিতে পেরেছিলেন লিওনেল মেসি। মেসিকে সেবার আটকানোর কাজ করেছিলেন ডাচ ডিফেন্ডার নাইজেল ডি ইয়ং।