ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে দুবাই ও শারজাহ শহরের মাঝখানে অবস্থিত একটি কফি শপে মিটিংয়ের কথা নুরুল হক নূর স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদ থেকে অপসারিত আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া।
রোববার (২ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে রেজা কিবরিয়া এ দাবি করেন।
রেজা কিবরিয়া বলেন, সবখানেই এটা প্রকাশ পেয়েছে যে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমাদের সদস্য সচিবের দুবাইয়ে মিটিং হয়েছে। দুবাই ও শারজাহর মাঝখানে একটি কফি শপে মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে তার বৈঠক হয়। সেটা নুর গত ১৮ জুন হওয়া মিটিংয়ে আমাদের সামনে স্বীকার করেছেন। কারণ দুবাইয়ে যে গাড়ি চালিয়ে তাকে নিয়ে গেছে সেই ব্যক্তি আমাকে বিষয়টি বলেছে।
ড. রেজা বলেন, নুর বলেছেন যে দুবাই পুলিশ যখন জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা মিথ্যা কথা বলে না। কারণ তাদের কন্ট্রাক্ট বাতিল করার ভয় থাকে। তারা ওখানে চাকরি করে সত্য কথাটাই বলে। তারা ওখানে মিটিংয়ে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেছে। সেখানে গাড়িতে চারজন ছিল। নুর একটা ব্যাগ নিয়ে বের হয়েছে সেটাও ঠিক। ব্যাগের ভেতর কী ছিল সেটা কেউ জানে না।
আমাদের এই মিটিংয়ের (১৮ জুন গুলশানের রেজা কিবরিয়া বাসায় বৈঠক হয়) পর নুর খুব উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেন, বিশেষ করে বিপ্লব পোদ্দার করে এক লোক চিৎকার দিতে শুরু করল। তখন মিটিয়ে হৈ চৈ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত মিটিংটা ভেঙে যায়।
নুরের সঙ্গে আর কাজ করবেন না জানিয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘নুরকে চিনতে ভুল করেছি, আমি বিশ্বাস ঘাতকতার শিকার’।
নুরের ইসরায়েলি অর্থের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত করা উচিত বলেও মনে করেন রেজা। তিনি বলেন, আশ্চর্যজনকভাবে তারা নিষ্ক্রিয়।
আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য নুর দলের বেশ কয়েকজনকে ২ কোটি টাকা করে অফার দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন রেজা।
উল্লেখ্য, গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে গণঅধিকার পরিষদ জানায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য আহ্বায়কের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করায় ড. রেজা কিবরিয়াকে গণঅধিকার পরিষদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তার জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।