মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি দেশের গৌরবে পরিণত হয়েছে : ড. তৌফিক

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বমানের শিক্ষাদান ও শিক্ষার্থীদের যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যোগ্য করে গড়ে তুলতে ২০ বছর পূর্বে সিলেটে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি যাত্রা শুরু করেছিল। সকলের সহায়তায় আজ এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের গৌরবে পরিণত হয়েছে। ফলে আমাদের পরিশ্রম ও ত্যাগ সার্থক হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘গুগল, অ্যামাজন, নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জসহ বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানসমূহে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সুসংহত অবস্থানে দেশের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে। কেবল বৃহত্তর সিলেট নয়; সারা দেশ থেকে এখানে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসছেন। এটা আমাদের জন্য গর্বের।’

সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অত্যাধুনিক সিমুলেশন ল্যাব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী এসব কথা বলেন।

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর এমও রহমান চৌধুরী।

ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখার অভিজ্ঞতার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে আরও বলেন, “সিমুলেশন ল্যাব মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষাগত অবকাঠামোতে নতুন সংযোজন। এই ল্যাবটি নিঃসন্দেহে আমাদের শিক্ষার্থীদের শেখার যাত্রাকে বাড়িয়ে তুলবে এবং তাদের ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্রুত বিকাশমান ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।”

বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর রহমান চৌধুরী বলেন, “সিমুলেশন ল্যাব মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে এগিয়ে থাকার অঙ্গীকারের একটি প্রমাণ। এই সুবিধা আমাদের শিক্ষার্থীদের তাত্ত্বিক জ্ঞান এবং ব্যবহারিক প্রয়োগের মধ্যে ব্যবধান পূরণ করতে সক্ষম করবে। আধুনিক শিক্ষাগত সম্পদে বিনিয়োগের মাধ্যমে, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের শিল্প-প্রস্তুত পেশাদার হয়ে উঠতে সক্ষম করছি যারা আমাদের জাতির উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।”

সভাপতির বক্তৃতায় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, “আমরা যুগের চাহিদার প্রয়োজনে ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। ইতোমধ্যে সিলেটসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ বিভাগ থেকে ডিগ্রি নিয়ে আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ বিভাগে অচিরেই অন্তত ৬ জন নতুন শিক্ষক যোগ দিচ্ছেন। অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা ও দক্ষ শিক্ষকবৃন্দের প্রচেষ্টায় আমরা ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক প্রকৌশল শিক্ষায় নেতৃত্ব দিতে চাই।”

অনুষ্ঠানে অন্যান্যে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, স্কুল অব বিজনেজ এন্ড ইকোনোমিক্সের ডিন প্রফেসর ড. তাহের বিল্লাল খলিফা, স্কুল অফ ল’র ভারপ্রাপ্ত ডিন শেখ আশরাফুর রহমান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান কাজী অহিদুজ্জামান, সিএসই বিভাগের প্রধান মাহফুজুল হাসান, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ফুয়াদ আহমেদ, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর চৌধুরী এম. মোকাম্মেল ওয়াহিদ, ইংরেজি বিভাগের প্রধান ড. রমা ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান মাসুদ রানা, রেজিস্ট্রার তারেক ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক খন্দকার মকসুদ আহমেদ, পরিচালক (অর্থ) মো. এনামুল হক, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিহির কান্তি চৌধুরী, সহকারি পরিচালক (আইটি) সামির আহমেদ প্রমুখ।