মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকদের কর্মশালা শুরু

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, ‘শিক্ষকতা কোনো পেশা বা চাকরি নয়, ব্রত। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মাঝে কেবল জ্ঞান বিলিয়ে দেন না, বরং নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করেন। শিক্ষকরা হচ্ছেন একটি জাতি ও সমাজকে এগিয়ে নেয়ার মূল কারিগর। ন্যায়নিষ্ঠা, ত্যাগ ও পরার্থপরতার আদর্শে লালিত হয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে শিক্ষকরা সভ্যতা বিকাশের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে যোগদানকৃত নবাগত শিক্ষকদের জন্য ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রোববার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স হলে এই কর্মশালার উদ্বোধন হয়।

আইকিউএসির পরিচালক এবং ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তাহের বিল্লাল খলিফার সভাপতিত্বে এবং আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক ড. রমা ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শিব প্রসাদ সেন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী এম. মোকাম্মেল ওয়াহিদ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন সহযোগী অধ্যাপক শেখ আশরাফুর রহমান, প্রক্টর ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. মাসুদ রানা, ইলেট্রনিক্স ও ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান কাজী অহিদুজ্জামান, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নওশাদ আহমেদ চৌধুরী, ইংরেজী বিভাগের প্রধান অনিক বিশ্বাস, আইন ও বিচার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ড. এ জেড এম আশরাফ, রেজিস্ট্রার তারেক ইসলাম, পরিচালক (অর্থ) মো. ইনামুল হক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য জহিরুল হক আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেককেই দেখা যায় অন্য কোনো চাকরি না পেয়ে শিক্ষকতায় আসেন। কিন্তু এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। সবচেয়ে মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষক হন। কিন্তু তাদের অনেকেরই শিক্ষকতার উপর কোনো প্রশিক্ষণ বা ডিগ্রি নেই। সাম্প্রতিককালে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকদের কিছু স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে। তবে তা আউটকাম বেইজড এডুকেশন ও উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত নয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্থায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি শিক্ষকতার জন্য বিষয় নির্বিশেষে প্রশিক্ষণ সংক্রন্ত কোর্স বা ডিগ্রি চালু করা প্রয়োজন।’