মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে হাল্ট-প্রাইজের ক্যাম্পাস রাউন্ডের প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫ জন শিক্ষার্থী ১১টি দলে বিভক্ত হয়ে অংশ নেন।
শুক্রবার (৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখা এ তথ্য জানায়।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুনতাহা রাকিব, অধ্যাপক ড. মুন্সী নাসের ইবনে আফজাল এবং জেস্ট ফুড অ্যান্ড বেভারেজের প্রতিষ্ঠাতা বিদ্যুৎ কান্তি দাস। প্রতিযোগিতায় বিচারকদের রায়ে ক্যানভাস, আরবান এবং নকশা নামের দলগুলো বিজয়ী হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে পড়াশোনার পাশাপাশি যেকোনো বিষয়ে বাস্তব ধারণা নেয়ার সর্বোত্তম জায়গা। অধ্যয়নের বিষয়ের তত্ত্বের সাথে বাস্তব জীবনের সংযোগ ঘটাতে হবে। আমাদের ছাত্রছাত্রীদের সেই পরিবেশ তৈরি করে দিতে কাজ করছি।
দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রতিযোগিতার বিচারক ড. মুন্সি নাসের ইবনে আফজাল প্রতিযোগিতায় পরবর্তী রাউন্ডের অংশগ্রহণকারীদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা দেন। ড. মুনতাহা রাকিব শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতায় আগ্রহের সাথে অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন। তিনি তাদের প্রদর্শিত ব্যবসার ধারণাগুলোর বিষয়ে তার মূল্যবান মতামত জানান।
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হাল্ট প্রাইজ ক্লাবের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং প্রধানগণ, প্রক্টর, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা এবং রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, তরুণদের ‘নোবেল পুরস্কার’ হিসেবে খ্যাত বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ সহায়ক কর্মসূচি ‘হাল্ট প্রাইজ’। সারা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের হাজার হাজার তরুণ তাদের উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়। বাংলাদেশের অল্প কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সিলেটে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতায় প্রতিবছর অংশ নেয়। হাল্ট প্রাইজ তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য চ্যালেঞ্জ করে। এ বছরের জন্য প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু হচ্ছে পোশাকশিল্পকে কিভাবে আরো টেকসই, নৈতিকসম্মত এবং পরিবেশসম্মত করা যায়।