মুনতাহার স্বজনদের পাশে সিলেটের জেলা প্রশাসক

কানাইঘাটে হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু মুনতাহা জেরিনের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সান্ত্বনা প্রদান ও তার কবর জিয়ারত করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসক মুনতাহা জেরিনের বাড়ী বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামে যান এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ ভুক্তভোগী পরিবারকে আশ্বস্থ করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতসহ প্রশাসন সবসময় মুনতাহা জেরিনের পরিবারের পাশে রয়েছে বলে সান্ত্বনা প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক’কে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মুনতাহা’র পিতা শামীম আহমদ সহ আত্মীয়-স্বজনরা। তারা খুনীদের ফাঁসির দাবী জানান।

পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ নিহত মুনতাহা কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সিলেট এর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব মানব সম্পদ) হোসাইন মো. আল জুনায়েদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), ওয়াজিদ ওয়াসিফ, কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে শিশু মুনতাহা। পরে আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু বিকেলে বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি। রোববার ভোররাতে বাড়ির পাশের একটি নালা থেকে মুনতাহার মরদেহ সহ হাতেনাতে প্রতিবেশি আলিফজান বিবিকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন, কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), তার মা আলিফজান বিবি (৫৫), একই এলাকার মৃত ছইদুর রহমানের ছেলে ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও মামুনুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫)। শামীমা বেগম মার্জিয়া শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষক ছিলেন।

গতকাল সোমবার তাদেরকে আদালতে তোলে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল আরেফিন জিহাদ ভূঁইয়া। পরে প্রত্যেক আসামীর ৫দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক কাজী মো. আবু জাহের বাদল।