দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সহজ জয়ের পর এবার কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ গত আসরের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশ দুটি দুবার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে।
আগামী শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে তৃতীয়বারের মতো মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়া। তবে এর আগের দুবারে শতভাগ জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন সেলেকাওরা।
বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সব মিলিয়ে চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই জয় ব্রাজিলের; একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। পরিসংখ্যান এবং শক্তিমত্তার দিক থেকে ব্রাজিল এগিয়ে থাকলেও একের পর এক অঘটন এবারের বিশ্বকাপকে রোমাঞ্চকর করে তুলেছে।
২০০৫ সালে ব্রাজিল বনাম ক্রোয়েশিয়া সর্বপ্রথম মুখোমুখি হয়েছিল আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে। সে ম্যাচটি ১-১ গোল সমতায় ড্র হয়।
এরপর ২০০৬ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো বিশ্ব আসরে মুখোমুখি হয় দল দুটি। যেখানে ব্রাজিল ১-০ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে পরাজিত করে। ২০১৪ সালে পুনরায় দুদলের দেখা হয়। সেখানে ব্রাজিল ৩-১ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে পরাজিত করে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে দেখা হয়েছিল এই দুটি ফেভারিট দলের। সেই ম্যাচেও ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছিলেন তিতের শিষ্যরা।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে নেইমার-ভিনিসিয়াসদের পারফরম্যান্স দেখে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ।
দালিচ বলেন, টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দল ব্রাজিল। এ পর্যন্ত আমরা যত ম্যাচ খেলেছি, তার চেয়ে এবারের ম্যাচটি একেবারেই ভিন্ন হবে। কারণ ব্রাজিল ফুটবল খেলতে ভালোবাসে। আমরা যদি বাস্তবতার কথা চিন্তা করি, তা হলে ব্রাজিল এ টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। তাদের হাতে দারুণ সব অপশন রয়েছে। দুর্দান্ত একটা স্কোয়াড আছে ওদের, যা ভীতিকর। ফলে আমাদের জন্য এটি কঠিন পরীক্ষা হতে যাচ্ছে।
দালিচ আরও বলেন, ম্যাচটি আমাদের কাছে কোয়ার্টার ফাইনাল নয়, এটিকে ফাইনাল ম্যাচ বলা যায়। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, আমরা খেলার আগেই হার মানব না। আমরা আমাদের নিজেদের মতো করে ব্রাজিলকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করব।