দেশে ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম ঠেকাতে মিয়ানমার থেকে দুই লাখ টন আতপ চাল কেনার প্রস্তাব নীতিগতভাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। যে চালের প্রতি কেজির দাম পড়বে ৪৪ টাকার কিছু বেশি।
সরকার টু সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে এই চাল আমদানি করা হচ্ছে। প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ৪৬৫ ডলার।
বর্তমানে প্রতি ডলারের দর ৯৫ টাকা হিসেবে প্রতি টনের দাম পড়ে ৪৪ হাজার ১৭৫ টাকা। এই হিসেবে এক কেজির দাম হয় ৪৪ টাকা সাড়ে ১৭ পয়সা।
বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৬তম বৈঠকে এই প্রস্তাবটির নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
দেশের বাজারদরের তুলনায় মিয়ানমারের এই দর অনেকটাই কম। সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাবে চালের কেজি এখন সর্বনিম্ন ৪৭ থেকে ৭০ টাকা। প্রধান খাদ্যশস্যটির আমদানি শুল্ক কমানোর পর গত এক সপ্তাহে দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকার মতো কমেছে। এক সপ্তাহ আগেও এই দর ছিল ৫৪ থেকে ৭৫ টাকা।
মিয়ানমার থেকে চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিতে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তবে বৈঠক শেষে কোনো ব্রিফিং করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল বারিকও সাংবাদিকদের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আমাকে ব্রিফ করার জন্য কিছু বলা হয়নি। তাই প্রায় প্রস্তাব অনুমোদনসংক্রান্ত বিষয়ে আমি কিছু আনুষ্ঠানিক জানাতে পারব না।’ তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা চাল কেনা এবং দরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অপরদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের চারটি প্রস্তাব ছিল কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি ও তার বর্ধিত ট্যারিফ অনুমোদন-সংক্রান্ত। এই প্রস্তাবেরও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবিত সাসেক ঢাকা সিলেট করিডর সড়ক উন্নয়নে ক্রয়সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব উঠলেও শেষ পর্যন্ত তা অনুমোদন করেনি মন্ত্রিসভা।
সূত্র : নিউজ বাংলা