মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের এক সংগীত উৎসবে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ জনে। আহত হয়েছেন আরও ১০০ জন। এর আগে ৬০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল।
হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আল-জাজিরা নানা সূত্র থেকে এ তথ্য জানিয়েছে, তবে বিমান হামলার ব্যাপারে এখনো নিজস্ব সূত্র থেকে নিশ্চিত হতে পারেনি সংবাদ মাধ্যমটি।
তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, কাচিন প্রদেশের এক সশস্ত্র সংগঠনকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তারা বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের বিষয়টিকে ‘গুজব’ বলে উল্লেখ করেছে।
কাচিনের মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই হামলার জন্য জান্তা প্রধানকে দায়ী করছে। তারা বলছে জান্তা প্রধান যুদ্ধ আইন ভঙ্গ করে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা করেছে। মিয়ানমারের কাছে সব ধরনের অস্ত্র ও বিমান জ্বালানি বিক্রয় বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে তারা।
রোববার (২৩ অক্টোবর) রাতে কাচিনের হপাকান্ত শহরের একে সংগীত উৎসবে হামলা চালায় জান্তারা। হামলার ব্যাপারে সর্বপ্রথম জানা যায় স্পেনে নির্বাসিত মিয়ানমারের এক সাংবাদিকের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টের পোস্ট থেকে। এরপর টুইটারে প্রকাশ করা কিছু ভিডিওতে ঘটনাস্থলের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়। যদিও সেটি বোমা হামলার ধ্বংসাবশেষ কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের কাচিন, শানসহ বেশ কিছু প্রদেশ আবার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। সামরিক শাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তারা।
বিদ্রোহ দমন করতে মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় জান্তা সরকার। ফলে অঞ্চলটির বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। পাশাপাশি সেখানে বেড়েছে সেনাবাহিনীর আনাগোনা।