চলমান সংঘাত দ্রুত সমাধান না হলে মিয়ানমারকে ‘একঘরে’ করা হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান)। এটি করা হলে আসিয়ানের কোনো কর্মকাণ্ডে আর মিয়ানমার যুক্ত হতে পারবে না।
শুক্রবার কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে আসিয়ানের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে বলা হয়, এক বছর আগে মিয়ানমারে শান্তি স্থাপন সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় যে ৫টি পয়েন্ট উল্লেখ করেছিল আসিয়ান, সেসব বাস্তবায়নে আর কত সময় লাগতে পারে তা ও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে ক্ষমতাসীন সেনা সরকারকে।
গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেত্নো মারসুদি মিয়ানমারে চলমান সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির জন্য ক্ষমতাসীন জান্তাকে এককভাবে দায়ী করেছিলেন। শুক্রবার আসিয়ানের বৈঠকে তিনি বলেন, আজ যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো, তা মিয়ানমারের জান্তা সরকারের জন্য একটি কঠিন বার্তা। একে হুমকি হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে।
এ দিন বৈঠকে মিয়ানমারের প্রতিনির জন্য বরাদ্দ আসনটি খালি ছিল। তবে পাল্টা এক বিবৃতি দিয়ে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, শান্তি স্থাপনে আসিয়ানের প্রস্তাবনা ‘বাস্তবসম্মত নয়’।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচিকে সরিয়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে।