মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে বদলে যাবে মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক

মৌলভীবাজারের বড়লেখার পাথারিয়া পাহাড়ি অঞ্চলের মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। জলপ্রপাতকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক। কিন্তু গত এক দশকে পার্কে পরিকল্পিত কোনো উন্নয়নকাজ হয়নি। এতে পর্যটকের কাছে আকর্ষণ হারাচ্ছে এই পার্ক।

অবশেষে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, টেকসই ব্যবস্থাপনা ও চিত্তবিনোদনের সুযোগ বাড়াতে মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন করা হয়েছে। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, মাধবকুণ্ড এলাকার প্রকল্পের ফলে দর্শনার্থী বাড়বে। বনায়ন কার্যক্রম, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ও রাজস্ব আয় বাড়ানো হবে। ভূমির ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার ওপর ভিত্তি করে প্রস্তাবিত এলাকাকে তিনটি জোনে ভাগ করা হবে। প্রকৃতি সংরক্ষণে করা হবে একটি বন সংরক্ষণ জোন। যেখানে বিরল ও সংকটাপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। এ বন সংরক্ষণ জোনের মোট আয়তন হবে ৯২৫ একর। প্রকল্প এলাকায় তথ্যকেন্দ্র ও জাদুঘরসহ নানা সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ৩.৯৬ একর আয়তনের একটি ইকোট্যুরিজম জোনের প্রস্তাবও করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আউটডোর বিনোদনের জন্য ইকোপার্ক এলাকার বাইরে ব্যক্তিগতভাবে ছোট রিসোর্ট, কটেজ, কনভেনশন হলসহ অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ৩৯১ একরের ইকোট্যুরিজম জোনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় মাধবকুণ্ডে দর্শনার্থীদের জন্য কেবল কার স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া জলপ্রপাত ফুট ট্রেইল, নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর, মসজিদ, রেস্টুরেন্ট, কফি কর্নার, বিশ্রামাগার, বসার স্থান ও প্রধান পার্কিং এলাকায় পাঁচটি দোকান নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট, শিশু কর্নার ও প্রজাপতি পার্ক করা হবে। থাকবে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা।