দীর্ঘ ৩ যুগেরও বেশি সময় ধরে উপেক্ষিত থাকায় দুর্ভোগের মধ্যে ছিলেন লন্ডনী রোড ২নং গলি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রে থেকেও তারা ছিলেন অবহেলিত। নানা সময় মেয়র-কাউন্সিলরের কাছে ধর্ণা দিয়ে এলাকাবাসী প্রত্যাশিত রাস্তার কাজ করাতে পারেননি।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ৭ নং ওয়ার্ডের লন্ডনী রোডের ২ নং রাস্তাটি মাত্র তিনশত ফুটের। অর্ধেক ছিল ইট বিছানো বাকি অর্ধেক কাঁচা রাস্তা। পাশের ড্রেন ব্যবস্থাও ছিল ভাঙ্গাচোরা।
এলাকাবাসীর এই দুর্ভোগের কথা শুনে এবং মমতাময়ী মায়ের নির্দেশ অবশেষে সমাজসেবক রানা শেখের উদ্যাোগে পাচ্ছেন আরসিসি ঢালাই করা রাস্তা। শুধু রাস্তা পাকাকরণই নয় পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কারের কাজ করেছেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে। এছাড়াও তিনি রাস্তায় পর্যাপ্ত আলোকসজ্জার কাজও করাচ্ছেন। পাশের আরেকটি ১০০ ফুটের রাস্তাও ইতিমধ্যে আরসিসি ঢালাই করেছেন নিজ উদ্যোগে।
রানা শেখ সিলেটের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি সুলতান ট্রেডিং নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এর কর্ণধার।
এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা মনিপুরী কমিউনিটির নেতা বিজু শর্মা জানান, আমরা এই রাস্তাটির জন্য দীর্ঘ দিন চরম কষ্ট করেছি। অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তা ব্যবহার করতে দুর্ভোগ পোহাতে হত। এখন আমার এই রাস্তা ব্যবহারে আর কষ্ট করতে হবে না।
স্থানীয় বাসিন্দা ও যুব নেতা রাজু আহমেদ বলেন, আমার দীর্ঘ দিন কত জায়গায় গিয়েও আমাদের রাস্তার কাজ করাতে পারিনি। অবশেষে রানা ভাই ব্যক্তি উদ্যোগে কাজটি করে দিচ্ছেন। এটি আমাদের স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য আনন্দের।
লন্ডনী রোডের অগ্রণী সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি জহিরুল হক মিশু বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে এলাকাবাসী দাবি ছিলো রাস্তাটি পাকাকরণের। অবশেষে রাস্তাটি একজন সাদা মনের মানুষ রানা শেখের হাত ধরে পাকাকরণ হলো। এটি আমাদের সমাজের জন্য দৃষ্টান্তমূলক মানবিক কাজের উদাহরণ। এই কাজ দেখে বিত্তশালীরা এমন সামাজিক কাজে ভূমিকা রাখবেন বলে বিশ্বাস করি।
এই ব্যাপারে রানা শেখ বলেন, আমার আম্মা রাস্তাটির ভাঙাচোরা অবস্থা দেখে এবং এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা শুনে আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাস্তাটি পাকা করে দেওয়ার জন্য।
আল্লাহ আমাকে তাওফিক দান করেছিলেন বলে আমি আমার মায়ের নির্দেশ পালন করতে পেরেছি। এতে এলাকাবাসী যেমন উপকৃত হবেন। আমি তেমন মায়ের নির্দেশ পালন করতে পেরেছি। আমি এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন বলে।