মানুষ নির্যাতন থেকে মুক্তি চায় : সিলেটে ড. মঈন খান

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, শুধু বিএনপি নয়, এদেশের সাধারণ মানুষ সরকারের অনেক জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছে। বেগম খালেদা জিয়া দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তারপরও আজ বছরের পর বছর থেকে সাবেক তিনবারের এই সফল প্রধানমন্ত্রী বন্দি রয়েছেন। এখন মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। যে কারণে বিএনপির প্রতিটি গণসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হচ্ছে। সরকার শত বাধা দিয়েও মানুষকে আটকে রাখতে পারছে না। এর একটাই কারণ, দেশের মানুষ সরকারের জুলুম-অত্যাচার মানে না। দেশের মানুষ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি চায়। এই মুক্তি শুধু বিএনপির জন্য নয়, এই মুক্তি দেশের সাধারণ মানুষের জন্য। চলমান আন্দোলনে আমাদের ৫ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে আগামী ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সিলেট বিভাগীয় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, সিলেটের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। কর্মজীবনে সিলেটে কাজ করেছি। পুণ্যভূমি সিলেট রাজনৈতিক কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ করেছেন। নেত্রীর সেসব সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হতো। ইনশাআল্লাহ আগামী ২০ নভেম্বরের গণসমাবেশ মহাসমাবেশে পরিণত হবে।

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনের সঞ্চালনায় সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মহিউদ্দিন চিস্তি।

প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদির লুনা, ড. এনামুল হক চৌধুরী ও খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গৌছ, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মি আক্তার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম. নাসের রহমান, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের শামীম, মিজানুর রহমান মিজান ও হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সিলেট মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সালেহ আহমদ খসরু ও রোকশানা বেগম শাহনাজ, সিলেট-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী নাসির উদ্দিন মিটু ও সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, বিএনপি জনগণের দল। তাই জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই জনতার ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। দেশের সাধারণ মানুষ এই আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করছে।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের সময় ফুরিয়ে এসেছে। মানুষ রাজপথে নেমেছে। এবার আর স্বৈরাচারী সরকারের রেহাই নেই।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, বিএনপির প্রতিটি সমাবেশে মানুষের ঢল নামছে। দেশবাসী আর এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সিলেটের গণসমাবেশ মহাসমাবেশে রূপান্তরিত হবে ইনশাআল্লাহ।

সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। গণসমাবেশে এর প্রমাণ দেশবাসীকে দেখিয়ে দেওয়া হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, পূণ্যভূমি সিলেট বিএনপির ঘাঁটি। এখান থেকেই সকল আন্দোলন-সংগ্রামের সূচনা হয়। আগামী ২০ নভেম্বরের গণসমাবেশে সিলেটবাসীর উপস্থিতি তা প্রমাণ করবে।

অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য দেন, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সামিয়া বেগম চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা জাসাসের সদস্য সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন সুজন, মৌলভীবাজার জেলা জাসাসের সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন, সিলেট জেলা জাসাসের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, সিলেট মহানগর জাসাসের আহ্বায়ক মাসুম আজিজ, হবিগঞ্জ জেলা জাসাসের যুগ্ম-আহ্বায়ক এমদাদুল হক লিটন, সুনামগঞ্জ জেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা ইলিয়াস হোসেন, হবিগঞ্জ জেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা দবির হোসেন, সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি বাহারুল কবির ফেরদৌস, সিলেট জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক এ কে এম তারেক কালাম, সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মুনসুর মোহাম্মদ শওকত, মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জি কে মুক্তাদির রাজু, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মোর্শেদ, সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শামসুজ্জামান, মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন, মৌলভীবাজার জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শামীম আহমদ চেয়ারম্যান, হবিগঞ্জ জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান আউয়াল, সিলেট জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, সিলেট মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক হুমাইয়ুন কবির শাহীন, হবিগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহিরুল হক শরিফ, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল হাসিম জাকারিয়া, সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, সিলেট মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মীর্জা সম্রাট হোসেন, সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ ফয়েজ, হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল, আহমদ, হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল ইসলাম সেলিম, হবিগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ইসলাম তরফদার তনু, সিলেট জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সুরমান আলী, সিলেট মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল আহাদ, সিলেট জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপী, হবিগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফাতেমা ইসলাম, সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা কুমকুম, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল মিয়া, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক এমদাদ, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদিপ জোতি এষ, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

সভায় বক্তারা আাগামী ২০ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশকে সফল করতে ইতোমধ্যে গ্রহণ করা বিভিন্ন কর্মসূচির কথা দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন এবং সমাবেশ সফল করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।