হবিগঞ্জের মাধবপুরে ১০ দিনেও সন্ধান মিলেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স মহব্বত আলীর। পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি মহব্বত আলী নিখোঁজের পিছনে মাদক ব্যবসায়ীদের হাত রয়েছে। কারণ, বিভিন্ন সময় মহব্বত আলী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের মালামাল ধরিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে ছেলেকে হারিয়ে প্রতিদিন চোখের জল ফেলেন মহব্বত আলীর মা কুশ বানু। আর অবুঝ ২ সন্তান নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে মহব্বত আলীর স্ত্রীর।
মহব্বত আলী নিখোঁজের ঘটনায় গত ১ আগস্ট মাধবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে (ডায়রি নং-৩৫)। সাধারণ ডায়রি সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জুলাই রাতে মহব্বত আলী বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে আর বাড়িতে ফিরেননি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে মহব্বত আলীকে না পেয়ে তার পিতা রোছমত আলী মাধবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
মহব্বত আলীর বাবা রোছমত আলী জানান, তার ছেলে কৃষি কাজ করত। পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র সোর্স হিসাবে কাজ করত। খোকন নামে একজন মাদক ব্যবসায়ী সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। খোকনসহ তার লোকজন মহব্বত নিখোঁজের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।
মহব্বত আলীর স্ত্রী জানান, তার ২ ছেলে। বড় ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। আর ছোট ছেলের বয়স ৩ বছর। ২ সন্তানকে নিয়ে কোন রকমে দিন কাটছে। স্বামীকে ফিরত পেতে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতা কামনা করেন।
গ্রামের সর্দার আব্দুল আলী জানান, খোকন নামে একজন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। খোকনের নামে মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ অসংখ্যা মামলা রয়েছে। মহব্বত আলী বিজিবি’র সোর্স হিসেবে কাজ করত। সে বিভিন্ন সময় মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করতো। হয়ত খোকনের লোকজন মহব্বত আলীকে গুম করতে পারে।
জিডির তদন্তকারী কমকর্তা মাধবপুর থানার অন্তর্গত কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর মো. ফজলুল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মহব্বত বিজিবি’র সোর্স হয়ে কাজ করত। যেহেতু বিজিবি’র সোর্স ছিল সেহেতু মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভাল ছিল না। তার নিখোঁজের পিছনে মাদক ব্যবসায়ীদের হাত থাকতে পারে। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।