মাধবপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো যেন নিয়ম রক্ষার!

হবিগঞ্জের মাধবপুরে সমস্যায় জর্জরিত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো। অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নেই ফার্মাসিস্ট, নেই অফিস সহায়ক। এমনকি জোড়াতালি দিয়ে কোনরকমে চালানো হচ্ছে এইসব স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র।

মাধবপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে প্রতিটি ইউনিয়নে রয়েছে একটি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এইসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে রয়েছে রোগীদের জন্য রয়েছে বেড, আধুনিক যন্ত্রপাতি। কিন্তু ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রগুলো যেন নিষ্প্রাণ। আর যারাই দায়িত্বে রয়েছেন তারাও যেন দায়িত্ব পালন করেন নিয়ম রক্ষার খাতিরে।

সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াপাড়া ইউনিয়নু স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় একমাত্র ভিজিটর শিখা বনিক ছাড়া আর কেউ দায়িত্বে নেই। কয়েকজন রোগী আসেন সেবা নিতে। তাদেরকে শিখা বনিক নিজেই সেবা দেন।

এই হাসপাতালে সপ্তাহে ২ দিন দায়িত্ব পালন করেন ডাক্তার সাবরিনা মুসতারিন। তিনি দুপুর ১টা ৩০মিনিটে চলে যান। মিড ওয়াইফ আয়েশা খাতুনও ছিলেন না হাসপাতালে।

বুধবার দুপুর ১টা ৪৪ মিনিটে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় রয়েছেন মিড ওয়াইফ আয়েশা খাতুন। এই সময় একজন গর্ভবতি রোগী আসলে তিনিই এই সেবা দেন।

বুধবার দুপুরেও ডাক্তার সাবরিনা মুসতারিনকে পাওয়া যায়নি। এই ব্যাপারে জানার জন্য ডাক্তার সাবরিনা মুসতারিনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।

বুধবার দুপুর ২টা ২২মিনিটে জগদীশপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পবিার কল্যান কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ২ জন দায়িত্ব পালন করছেন। একজন ভিজিটর সুপ্রিয়া রানি পাল ও আয়া শাবানা আক্তার। হাসপাতালে নেই এমবিবিএস কোন চিকিৎসক। মেডিকেল এসিস্ট্যান্ড (এসএসসিএমও) সেকমু হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন কমল কৃষ্ণ সাহা। মেডিকেল এসিস্ট্যান্ড ও মিডওয়াইফ স্মৃতিরানি দাস রয়েছেন হাসপাতালের বাইরে।

ভিজিটর সুপ্রিয়া রানি পাল জানান, মেডিকেল এসিস্ট্যান্ড ও মিড ওয়াইফ হাসপাতালে ছিলেন। দুপুরের পর অফিসের কাজে বাইরে গেছেন।

এ ব্যাপারে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ড কমল কৃষ্ণ সাহার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি দুপুরে রিপোর্ট জমা দিতে উপজেলায় এসেছিলেন।

মিডওয়াইফ স্মৃতি রানি দাস জানান, রিপোর্ট জমা দিতে উপজেলায় এসেছিলেন। তাই একটু আগেই বের হন।