হবিগঞ্জের মাধবপুরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা থেকে ৫টি মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে যাবার অভিযোগ উঠেছে খোদ প্রধান শিক্ষিকা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলেও সীমানা জটিলতায় কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না উপজেলা শিক্ষা অফিস।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের দূর্গাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে গত ১৬ ফ্রেরুয়ারি ৫টি গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রুনা আক্তার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি সৈয়দ আহাম্মদ ওরফে কামরুজ্জামান।
এই ঘটনায় ধর্মঘর ইউনিয়নের আনসার ও ভিডিপি সদস্য মো. সাইফুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেন।
লিখিত অভিযোগের পর নড়েচড়ে বসেন শিক্ষা অফিস। গত ২৩ ফ্রেরুয়ারি উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র আচার্য বিদ্যালয় পরিদর্শন করে গাছ কাটার সত্যতা পান। তবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ওরফে সৈয়দ আহাম্মদ তার নিজস্ব জায়গা থেকে গাছ কেটেছেন বলে দাবি করেন। তখন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কয়েকজন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণের জন্য প্রধান শিক্ষিকাকে নির্দেশ দেন।
এখন পর্যন্ত সীমানা জটিলতা নিরসন না হওয়ায় গাছ কাটার বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি শিক্ষা অফিস।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি সৈয়দ আহাম্মদ ওরফে কামরুজ্জামান জানান, ‘তিনি তার নিজ জায়গা থেকে গাছ কেটেছেন। বিদ্যালয়র জায়গা থেকে তিনি গাছ কাটেন নি।’
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রুবিনা আক্তার (রুনা আক্তার) জানান, গাছগুলো বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি কেটেছেন। তিনি সেদিন বিদ্যালয়ে ছিলেন না। যেহেতু বিদ্যালয়ের জায়গা নির্ধারণ হয় নি তাই সাবেক সভাপতি দাবি করছেন উনার জায়গা থেকে উনি গাছ কেটেছেন।
দূর্গাপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি জানান, গাছগুলো বিদ্যালয়ের সীমানার মধ্যেই ছিল। গাছগুলো বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি কেটে নিয়েছেন।
সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, কয়েকদিনের মধ্যে সীমানা মাপজোক করে দেখা হবে, গাছগুলো বিদ্যালয়ের এলাকার হলে যারা কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাধবপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, আগামী ৬ মার্চ বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণের মাপজোক করা হবে। তখন স্পষ্ট হওয়া যাবে গাছগুলো বিদ্যালয়ের সীমানার নাকি সাবেক সভাপতির নিজ জায়গার।