হবিগঞ্জের মাধবপুরে তিন শিশু-কিশোরের বয়স বাড়িয়ে তাদের নামে মামলা দেওয়ায় উল্টো বাদীর নামে মামলা দায়েরের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসাইন এ আদেশ দেন।
শিশু-কিশোরের নামে মামলা দায়েরকারী অমল ভৌমিক মাধবপুর উপজেলার শিমুলঘর গ্রামের নেপাল ভৌমিকের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, অমল ভৌমিক গত বছরের ৬ আগস্ট ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ ২০/২৫ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মুখলেছুর রহমান।
বাদীর এজাহার ও পুলিশের অভিযোগপত্রে এক নম্বর ক্রমিকের আসামির বয়স ১৮ বছরের স্থলে ২৮ বছর, দশ নম্বর ক্রমিকের আসামির বয়স ১৭ বছরের স্থলে ২৫ বছর ও বারো নম্বর ক্রমিকে আসামির প্রকৃত বয়স ৯/১০ বছরের স্থলে উল্লেখ করা হয় ১৮ বছর।
আদালতে এ বিষয়টা ধরা পড়লে বাদী ক্ষমা প্রার্থনা করে জানান তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেননি। কিন্তু আদালতে প্রমাণিত হয় তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তিন শিশু-কিশোরকে আসামিভুক্ত করেন। এ ঘটনায় সামাজিকভাবে হয়রানির শিকার হয়েছে এবং তাদের ওপর মনস্তাত্ত্বিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
এ কারণে আগের মামলার চার্জশিট প্রদানকারী এসআই মো. মুখলেছুর রহমানকে নিজে বাদী হয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সাত দিনের মধ্যে অমল ভৌমিকের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়েরের আদেশ দেন বিচারক।
তবে অমল ভৌমিকের দায়ের করা মামলার পাঁচজন আসামি পলাতক। তাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।