হবিগঞ্জের মাধবপুরে রাতের আঁধারে এক ব্যক্তিকে মারধর করার ঘটনা সম্পর্কে মামলা হয়েছে। যদিও এ মামলার সাক্ষীরা নিজ চোখে দেখেননি ঘটনা! এ মামলায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের সোয়াবই গ্রামের ফরাশ উদ্দিনের ছেলে মো. রুবেল মিয়া বাদী হয়ে গত ২১ মার্চ মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ৪১)। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, সোয়াবই গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে সাকিব মিয়া, একই গ্রামের আবু তাহের মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম ও তার ভাই আব্দুর রাজ্জাক গত ১৫ ফেরুয়ারি দিবাগত রাত পৌনে ১টায় সোয়াবই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাকে আটক করে পিটিয়ে আহত করেন।
মামলার প্রধান সাক্ষী করা হয় সোয়াবই গ্রামের মইদর আলী সর্দারের ছেলে তাজুল ইসলাম ও দ্বিতীয় সাক্ষী করা হয় একই গ্রামের মৃত ছোবহান সর্দারের ছেলে মো. পারুল মিয়াকে।
তবে মামলার প্রধান সাক্ষী তাজুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে জানান, তিনি ওই ঘটনা নিজের চোখে দেখেননি। ঘটনার পরদিন রুবেল মিয়া তাকে জানিয়েছেন যে সাকিব তাকে মারধর করেছেন।
তিনি আরও জানান, রুবেল মিয়ার পূর্বের বাড়ির ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় ছিল। সেখানে অনেক লোকের সঙ্গে তার শত্রুতা ছিল। পরে রুবেল মিয়া সোয়াবই গ্রামে এসে বাড়ি করেন।
মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী পারুল মিয়াও জানান, তিনি ঘটনা নিজের চোখে দেখেননি। পরদিন রুবেল মিয়া এসে তাকে মারধর করার ঘটনাটি বলেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কুদ্দুছ মিয়া জানান, রুবেল যে লোক ভালো না এটা এই এলাকার সবাই জানে। রাজেন্দ্রপুরে তার স্থায়ী বাড়ি ছিল। সেখান থেকে সে এখানে চলে আসে।
মামলার আসামি সাকিব জানান, রুবেল কোন ক্যাটাগরির লোক তা স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন। রুবেল অনেক মানুষকে হয়রানি করেছে। তার বাড়ি সীমান্ত এলাকায় ছিল। সেখানকার মানুষদের সঙ্গে সে ঝগড়াঝাঁটি করেছে। পরে সোয়াবই গ্রামে এসে বাড়ি করেছে। তার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী মোজাম্মেল হক রাসেল জানান, মামলায় যাদের সাক্ষী করা হয়েছে তারা কেউ ঘটনা দেখেননি। তাই এটা আজব মামলা বলা যায়।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।