শীতের সময় পিঠা খেতে কার না ভাল লাগে। আর তা যদি হয় গরম গরম তাহলে তো কথায় নেই। গরম গরম ভাপা পিঠা খেতে দুপুর থেকে মধুর ছোট দোকানে ছুটে আসেন লোকজন। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সদর বাসষ্ট্যান্ডে দীর্ঘদিন যাবত চা বিক্রি করেন মধু মিয়া।
২ বছর যাবত চা বিক্রির সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত করেন পিঠা । বিশেষ করে শীতের সময় চাহিদা বেশী থাকায় এই সিজনটাই বেঁচে নিয়েছেন মধু মিয়া। শীতে গরম গরম পিঠা তৈরী করে ক্রেতাদের হাতে তুলে দেন তিনি। ক্রেতারাও গরম পিঠা ফুঁ দিয়ে খেয়ে তৃপ্তি পায়।
পিঠা তৈরীর মূল কারিগর মধু মিয়ার ছেলে রাব্বি। অল্প বয়সে বাবাকে সাহায্য করতে দোকানে আসতে শুরু করেন। দুপুর থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত নিজ হাতে পিঠা তৈরী করেন রাব্বি । রাব্বিকে সহযোগীতা করেন তার চাচাত ভাই আব্দুল আউয়াল। প্রতিদিন ৩/৪ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করা হয় মধুর দোকানে। এখানে ঝাল ও মিষ্টি পিঠা দু’টোই পাওয়া যায়। প্রতিপিস পিঠার দাম ১০ টাকা।
রাব্বি জানান, পিঠা তৈরী করতে চাউলের গুড়া, নারিকেল, গুড়সহ বিভিন্ন উপাদান লাগে।
নিজে নিজেই রাব্বি এই পিঠা তৈরী করা শিখেছে। শীতের সময় লোকজন পিঠা খেতে ভালবাসে। তাই এখন বেঁচা বিক্রি ভাল।
নিখিল দেবনাথ নামে একজন ক্রেতা জানান, গরম গরম পিঠার স্বাদ নিতে তিনি প্রায় প্রতিদিন মধু মিয়ার দোকানে আসেন। পিঠাগুলো অনেক সুস্বাদু।
মধু মিয়া জানান, স্ত্রী ও ৪ ছেলেকে নিয়ে তার সংসার। এক ছেলে গাড়ীর কাজে এবং অন্য ছেলে করেন কৃষি কাজ। তৃতীয় ছেলে রাব্বি বাবার সাথে পিঠা তৈরী করে। আর সবার ছোট ছেলে পড়াশুনা করে। প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে মোটামুটিভাবে মধু মিয়ার সংসার চলে যায় । তবে জিনিসপত্রের দাম বেশী হওয়ায় লাভ কম হয়।