মাধবপুরে ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা

আর মাত্র কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা কে ঘিরে মুসলমানদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ থাকে কোরবানির গরু নিয়ে। নিজেদের বাজেটের মধ্যে ও ভালো মানের একটি গরু কিনতে পারলেই যেন চিন্তামুক্ত। ঈদকে সামনে রেখে হবিগঞ্জের মাধবপুরেও শেষ সময়ে গরু কিনতে বিভিন্ন হাট বাজারে ছুটে যাচ্ছেন লোকজন, আবার অনেকে খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্রয় করছেন গরু।

ঈদ উপলক্ষ্যে মাধবপুর উপজেলার প্রায় ৮ শতাধিক খামারি তাদের গরু প্রস্তুত রেখেছেন। শেষমুহূর্তে গরু লালন পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। এবারের ঈদে আন্দিউড়া গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মুক্তাকিন চৌধুরীর পিউনিক অর্গানিক খামারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে শতাধিক গরু। তারমধ্যে দেশী গরু থেকে শুরু করে শাহিওয়াল, জার্সি, ফ্রিজিয়ান, গুড্ডি জাতের গরুও রয়েছে।

খামারের মালিক মো. মুক্তাকিন চৌধুরী জানান, তার এখানে শাহিওয়াল, জার্সি, ফ্রিজিয়ান, গুড্ডি জাতের গরুও রয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১০০ থেকে ১১০ টি গরু বিক্রি করতে পারবে । একেক টি গরুর মূল্য হাঁকা হয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার পর্যন্ত। পিউর খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে গরুগুলো পালন করা হয় । সবগুলো তার নিজস্ব গাভি থেকে প্রস্তুত করা হয়েছে।

স্থানীয় একজন বাসিন্দা জানান, মুক্তাকিন চৌধুরীর খামারের ষাঁড় গুলো খুবই আকষনীয় ও সৌন্দর্য হিসাবে আমরা দেখছি এবং অনেক ক্রেতা এসে ষাঁড় গুলো কিনে নিয়ে যায়। এই এলাকার মধ্যে ফার্মটি হওয়াতে অনেক বেকারত্ব সমস্যা দূর হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা টুটুল জানান, কোন প্রকার ক্যামিক্যাল খাদ্য ছাড়া গরুগুলো পালন করা হয়। এখান থেকে প্রতি বছর অনেক মানুষ গরু কিনে। এ বছরও অনেক গরু প্রস্তুত করা হয়েছে যা বিক্রি করা হবে। আমাদের এলাকা থেকেই অনেক মানুষ গরু কিনে, বাইরের মানুষ এসেও কিনে।

মাধবপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বেগ জানান, কোরবানি উপলক্ষ্যে আমাদের মাধবপুর উপজেলায় বাণিজ্যিক ও প্রান্তিক খামারি মিলিয়ে ৮ শ অধিক খামারি তাদের গরু প্রস্তুত রেখেছে। মাধবপুরে ৯ হাজারের অধিক কোরবানির গরু প্রস্তুত আছে। সবগুলো পশুই আমরা চেষ্টা করেছি প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আধুনিক প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে লালন পালন করার জন্য।