‘মাদকাসক্তদের’ মারধরের শিকার হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতা। সানজিদ চৌধুরী তন্ময় ( রিশান তন্ময়) নামে এ নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি ।
গত রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় শাহপরাণ হলে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা রিশান তন্ময় জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমানের নির্দেশে তার অনুসারী ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে অন্তত ৩০ জন ছাত্রলীগ কর্মী তাকে মারধর করে। তিনি বলেন, সজিবুর রহমান সজিব ও সাজ্জাদ দুই জনেই মাদকের সাথে অনেক আগে থেকেই যুক্ত। সজিবের মদ খাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়েছিল, আমরা সবাই এটা জানি। আর সাজ্জাদ মাদক নিয়ে একবার পুলিশের হাতে ধরা খাইছিলো, তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হইছিলো।
রিশান তন্ময় বলেন, রবিবার দুপুরে আমি টাকা জমা দিয়ে হলে ভর্তি হই। আমাকে অফিস থেকে জানানো হয় আমার ভর্তি কমপ্লিট, পরে আমাকে হলের আইডি কার্ড দেয়া হবে। এরপর রাতে আমি আমার রুমে গেলে সেখান থেকে সজিবের নির্দেশে সাজ্জাদের নেতৃত্বে আমাকে মারধর করা হয়। রুম থেকে নিচে নামিয়ে টানা-হেঁচড়া করে আমাকে গেস্টরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে আমার হাত বেধেঁ তালা দিয়ে রাখে।
এদিকে মারধরের ঘটনা দামাচাপা দিতে ফোন চুরির অপবাদ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে রিশান তন্ময় বলেন, আমাকে মারধরের বিষয়টা দামাচাপা দিতে আমাকে এমন অপবাদ দেয়া হয়েছে। গতকাল রাতে স্যাররা যখন হলে আসছিলো তখন সেখানে ফোন চুরির বিষয়ে একটা সিঙ্গেল শব্দও বলা হয় নাই, এরকম কোনো টপিকই উঠে নাই। রিশান বলেন, গত বছরের অক্টোবরে দিকে আমাদের ক্যাম্পাসে কমিটি হওয়ার কথা ছিল, আমি ক্যান্ডিডেটও ছিলাম। পলিটিক্যাল কম্পিটিশনে সে আমার সাথে পাইরা উঠে নাই বইলা সে আমাকে অনেকবার মারার চেষ্টা পর্যন্তও করে।
রিশানকে মারধরের ঘটনা পরবর্তী সময়ে হল প্রভোস্টবডি, সহকারী প্রক্টর, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে রিশানসহ বাকিদের নিয়ে বসে আলোচনা করা হয়। সেখানে ফোন চুরির কোনো বিষয় নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ তুলেনি বলে জানিয়েছেন শাহপরাণ হলের সহকারী প্রভোস্ট কৌশিক সাহা। তিনি বলেন, ফোন চুরির বিষয়ে সেখানে কোনো কথা কেউ বলে নি এবং ফোন চুরির বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমানকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমানকে ফোন দেয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।