মাঠে হাসছে হাইব্রিড জাতের গোল্ডেন ওয়ান চিকন ধান

বাম্পার ফলনে অনেকটা উৎফুল্ল কৃষক দৌলত মিয়া। ছবি: গোলাম কিবরিয়া

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরে দৌলত মিয়া নামের এক কৃষক তার ৪ কিয়ার জমিতে প্রথমবারের মতো লাল তীরের হাইব্রিড জাতের চিকন ধান গোল্ডেন ওয়ান চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন।

কৃষক দৌলত মিয়া সিলেট ভয়েসকে জানান, হাইল হাওরে মোটা জাতের ধান চাষ করলেও চিকন জাতের ধান কেউ তেমন একটা চাষ করেন না। তাই তিনি প্রথম বারের মতো পরীক্ষামূলক ৪ কিয়ার জমিতে লালতীর সীডের হাইব্রিড জাতের চিকন ধান গোল্ডেন ওয়ান ধানের চাষ করেছেন। এ জাতের ধানের চাল চিকন হয়। চিকন চালের চাহিদা ও দর ভালো পাওয়ায় তিনি এ ধান চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

এছাড়া এ জাতের ধান চাষে খরচও কম। কোনো প্রকার সার ও কীটনাশক ছাড়া শুধুমাত্র পরিচর্যা, পানির সর্বরাহ এবং যত্ন নিলে প্রাকৃতিক ভাবেই ভালো ফলন মিলে। বাম্পার ফলনে অনেকটা উৎফুল্ল কৃষক দৌলত মিয়া।

দৌলত মিয়া আরও জানান, ইতোমধ্যেই তার জমিতে ধান ৮০ভাগ পরিপক্ক হয়ে গেছে। আর ৪/৫ দিনের মধ্যেই ধান কাটা শুরু হবে। আগামীতে বড় পরিসরে এ জাতের হাইব্রিড চিকন ধান চাষ করার ইচ্ছে আছে।

এ ব্যাপারে লাল তীরের সিলেট ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী সিলেট ভয়েসকে জানান, হাইব্রিড গোল্ডেন ওয়ান জাতের ধান একটি উচ্চ ফলনশীল। পাতা পোড়া এবং ব্লাস্ট সহনশীল চিকন জাতের হাইব্রিড ধান চাষ করলে খরচ কম হয়। কৃষকও লাভবান হন। এ জাতের ধান গাছের উচ্চতা হয় ১০৫-১১০ সেমি। বোরো মৌসুমে ১৪৫ থেকে ১৫০ দিনের মধ্যে ধান কর্তন উপযোগী হয়ে ওঠে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন জানিয়েছেন, পোকা এবং ব্লাস্ট রোগ না থাকায় এবার হাইল হাওরে হাইব্রিড ধানসহ সব ধরণের ধানের ফসল ভালো হওয়ায় এবার লক্ষমাত্রা অর্জনে আমরা আশাবাদী।