মাঝরাতে উত্তপ্ত ইডেন কলেজ: ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি

মাঝরাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কোন্দলে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ ঘটনায় দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইডেন মহিলা কলেজ শাখায় সংঘটিত বিশৃঙ্খলার তদন্তের স্বার্থে নিম্নোক্ত দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো- ১. তিলোত্তমা শিকদার, ২. বেনজির হোসেন নিশি। কমিটিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় দফতর সেলে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।’

এর আগে, গতকাল শনিবার রাতে গণমাধ্যমে কথা বলার কারণে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌসীর অভিযোগ, তিনি হলের বাইরে থাকা অবস্থায় হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তার রুমে ঝামেলা করেন। পরে তিনি কলেজ ক্যাম্পাসে এলে তাকে মারধর করা হয়।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি হলের বাইরে ছিলাম। রাজিয়ার মেয়েরা আমার রুমে ঝামেলা করে। পরে আমার রুমের মেয়েরা আমাকে ফোন দেয়। আমি হলে এসে কয়েকজন মেয়ের সঙ্গে কথা বলি। হলে আসা মাত্র আমাকে কয়েকজন মারধর করে। আমার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।’

এ ঘটনার জেরে মধ্যরাত থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন। অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌসের অনুসারীরাও পাল্টা মিছিল করেন।

তাদের অভিযোগ, হলের বাইরে থাকা অনেক শিক্ষার্থীকে ১১টা পর্যন্ত হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কলেজের দারোয়ান কলেজের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে তাদের হলে প্রবেশ করতে দেয়নি।

এ বিষয়ে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের এক নেত্রী বলেন, ‘আমাকে অনেক রাত পর্যন্ত বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। আমাকে হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কথায় হলের মামারা আমাকে প্রবেশ করতে দেয়নি।’

এদিকে রাতে ঘটনার বিষয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের সুপার নাজমুন নাহার বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে উভয়পক্ষের বক্তব্য নিয়ে পরে কলেজ প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। এখন আর কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।