দোয়ারাবাজারে মসজিদের রড চুরির ঘটনায় পরবর্তীতে ৬ জন সালিশ বিচারককে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গ্রামপঞ্চায়েতবাসী।
সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে উপজেলার মজুরবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রামপঞ্চায়েতবাসী লিখিত বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের উত্তর জীবনপুর জামে মসজিদের ১০ মন রড চুরি হয়। পরবর্তীতে চুরি হওয়া রড পাওয়া যায় দোহালিয়া ইউনিয়নের মজুরবাজারস্থ ভাঙারি ব্যবসায়ী ইসলাম উদ্দিনের দোকানে। গ্রামপঞ্চায়েতবাসী ভাঙারি দোকান থেকে দোয়ারাবাজার থানার এসআই মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে ২ মন রড উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ভাঙারি ব্যবসায়ী ইসলাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিচার সালিশের ডাক দেওয়া হলে ইসলাম উদ্দিন এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয় এবং সে বিচার সালিশে উপস্থিত হয়নি। সালিশ বৈঠকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ভাঙারি দোকানে তালাবদ্ধ করা হলে এর কয়েকদিন পর ইসলাম উদ্দিন ৬ সালিসির বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে।
লিখিত বক্তবব্যে ইউপি সদস্য জিয়াউল ইসলাম বলেন, ভাঙারি ব্যবসায়ী ইসলাম উদ্দিন এলাকার একজন চিহ্নিত চোর। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে অসংখ্য চুরির অভিযোগে রয়েছে এবং এলাকাবাসী টিউবওয়েল, গ্যাস সিলিন্ডার, অটোরিকশার ব্যাটারিসহ নানা মূল্যবান জিনিসপত্র তার দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মসজিদের রড চুরি ঘটনায় সে হাতেনাতে ধরা পড়লে চুরির বিষয়টি আড়াল করতে উল্টো ৬ সালিসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমরা গ্রামপঞ্চায়েতবাসী অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার এবং চুরির দৃষ্টান্ত মূলক বিচারসহ মসজিদের রড উদ্ধারের আহবান জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মো. এমরাজ তালুকদার, মো.আব্দুল মালিক, আনোয়ার হোসেন, সামসুদ্দিন, আব্দুল আওয়াল, মো. আলেক, আব্দুর রহমান, আব্দুল কাদির, আব্দুস সহিদ, আব্দুল খালিক, শহীদ মিয়া, আনফর আলী, আফরোজ আলী, বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি মজর আলী, হাজী রহমত আলী, আফজল, সুনু মিয়া, কাচাই মিয়া,সজল মিয়া, সিরাজ মিয়া,আবুল মিয়া, আফতাব আলী, রহিম উদ্দিন, শানু মিয়া, আব্দুল মতিন, কবির আহমদ, আফতাব মিয়া, গৌছ আলী প্রমুখ।