মরুভূমির তীব্র গরমে মারা গেলেন পিপাসার্ত ২৭ অভিবাসী

লিবিয়া সীমান্তে মরুভূমির উচ্চ তাপমাত্রা ও তৃষ্ণায় বিপর্যস্ত ২৭ অভিবাসীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তাদের তিউনিশিয়া থেকে লিবিয়া সীমান্তের দিকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল।

বুধবার (০৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, লিবিয়ার সীমান্তরক্ষীরা উত্তর ক্রসিংয়ের দক্ষিণে একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মরদেহগুলো খুঁজে পায়। ধারণা করা হচ্ছে, তারা উচ্চ তাপমাত্রা ও তৃষ্ণায় মারা গেছে।

উদ্বাস্তু এবং অভিবাসীরা জানিয়েছেন, পানি, খাবার ও আশ্রয় ছাড়া কয়েক দিন ধরে হাঁটতে বাধ্য হয়েছিলেন তারা। যেখানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

লিবিয়ার সীমান্তরক্ষী ও মানবাধিকারগোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, তিউনিশিয়া শরণার্থী ও অভিবাসীদের তীব্র গরমের মধ্যে শহর বা গ্রাম থেকে দূর প্রান্তরে বিতাড়িত করেছে। সীমান্তরক্ষীরা জানিয়েছে, তিউনিশিয়া থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর প্রতিদিন গড়ে ১৫০ জন মানুষ লিবিয়ায় প্রবেশ করছে।

গত জুলাইয়ে তিউনিশিয়ার বন্দরনগরী স্ফ্যাক্সে সহিংসতায় এক তিউনিশীয় নিহত হন। এ ঘটনার কয়েক দিন পর আফ্রিকার অভিবাসী এবং শরণার্থীদের বিতাড়ন শুরু হয়।

তফাউল ওমর নামে এক নারী জানান, গর্ভবতী অবস্থায় তাকে আর তার স্বামীকে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে সামান্য পানি দিয়ে ফেলে রাখা হয়।

তিনি বলেন, আমার স্বামী একজন শ্রমিক। তিউনিশিয়ায় তাকে মারধর ও অপমান করা হয়েছিল। দুই দিন পর আমাদের সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা শুধু পুরুষদের মারধর করে সীমান্তে ছেড়ে চলে যায়। লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ খুঁজে পাওয়ার আগে তাদের জ্বলন্ত সূর্যের নিচে কয়েক ঘণ্টা হাঁটতে হয়েছিল।

গত মাসে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এবং শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের হাইকমিশনার অফিস বলেছে, তারা তিউনিশিয়ার শত শত অভিবাসী এবং উদ্বাস্তুদের নিরাপত্তার জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাদের প্রত্যন্ত ও জনশূন্য সীমান্ত এলাকায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বা ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।