মন্ত্রী হয়ে নিজের স্বপ্ন-পরিকল্পনার কথা জানালেন উপাধ্যক্ষ শহীদ

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে এই প্রথমবার মন্ত্রীসভায় ঠাই পেয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ। শপথ গ্রহণের পর পেয়েছেন কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব।

মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় নিজের আগামীর কর্ম পরিকল্পনার স্বপ্নের কথা তুলে ধরেছেন আব্দুস শহীদ। বলেছেন, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় কৃষির মাধ্যমে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কৃষি নির্ভরশীল। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় কৃষির মাধ্যমে। কৃষকদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন চিন্তা করা যায় না। কৃষকের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক আগ থেকেই নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। বাংলাদেশের যেসব মানুষ বেকার তাদের কৃষিতে কাজে লাগাবো। পতিত পড়ে থাকা জমি চাষের আওতায় আনবো। আমি উদ্যোগ নিয়ে কৃষি কাজে মানুষকে উৎসাহিত করবো।

তিনি বলেন, আমি নিজেই মাছ, ফল ও শাক সবজি চাষ করি। দেশের কৃষি খাতকে ঢেলে সাজাতে আন্তরিকভাবে কাজ করবো। মন্ত্রণালয়ের চলমান কাজ এবং আগের কাজগুলো তদারকি করে দেখবো। কোথাও কোনো সংকট থাকলে সমাধানের চেষ্টা করবো। মাঠ পর্যায়ে ও বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের কার্যক্রম কেমন চলছে তা জানাবো। সবার সহায়তায় কৃষিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কর্মকর্তাদের অনেকেই মাঠে যান না অফিসে গালগল্প করে সময় কাটান। তারা যেন মাঠে যান, কৃষকদের সঙ্গে যেন তাদের সম্পৃক্ততা আরও বাড়ে সে বিষয়ে কাজ করব। মানুষকে কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ করতে উঠান বৈঠক-কর্মশালাসহ নানা কর্মসূচি নেব। মানুষ যেন নিজেদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করেই সংসার চালাতে পারেন সে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো।

আব্দুস শহীদ ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত টানা সাত বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। সরকারের হুইপ, সরকার ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত এবং অনুমতি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয়ে যোগদান করে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন আব্দুস শহীদ। তিনি বঙ্গবন্ধু শিশু অ্যাকাডেমি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি প্যানেল স্পিকার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।