পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন, ‘ক্রীড়া ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মণিপুরীরা সুনামের সাথে অবদান রেখে চলেছে। মনিপুরিদের উন্নয়নে সকল ধরনের সহযোগিতার অব্যাহত থাকবে।’
শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) বিকালে আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত মাহা-বাংলাদেশ আন্তঃমনিপুরি ফুটবল চ্যাম্পিয়ন ট্রফির পুরস্কার বিতরণীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরনি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জান চৌধুরী, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি বিজিত চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আল আজাদ, বিপিকেপি যুক্তরাজ্য শাখার আইন সম্পাদক নীলমনি সিংহ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক বিনয় ব্যানার্জি।
বাংলাদেশ মনিপুরি স্পোর্টস এসোসিয়েশন আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খেলাধুলার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। খেলাধুলা যুব সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করে। তাই মাদক-বিপথগামী থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। সেজন্য দেশ-সমাজের স্বার্থে খেলাধুলাকে অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সিলেটে ৪ টি খেলার মাঠ বানানোর পরিকল্পনায় ইতোমধ্যে ২টি মাঠের অনুমোদন হয়েছে।
প্রতিযোগিতার ফাইনালে ‘কমপ্রত্যাশা নহারোল ক্লাব ভানুগাছ’ টাইব্রেকারে ‘পাথারি এক্সপ্রেস বড়লেখাকে’ ৪-১ পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে।
ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ এবং ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন নুংশি থৈবা, সেরা গোলকিপারের পুরস্কার পেয়েছেন নিরোদ শর্মা। খেলা শেষে সন্মানিত অতিথিবৃন্দ টুর্নোমেন্টে চ্যাম্পিয়ন-রানারআপ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
বাংলাদেশ মনিপুরি স্পোর্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি অজয় সিংহের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, সহসভাপতি রাজীব সিংহ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল, সিলেট প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আব্দুল হান্নান, সিসিক মেয়রের পিআরও সাজলু লস্কর প্রমুখ।