মণিপুরী সাহিত্য সংসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গুণীজন সম্মাননা

‘বাংলাদেশ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের। তাই দেশকে ভালবাসতে হবে। দেশপ্রেম জাগ্রত করার মধ্য দিয়েই আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে পারব। সমাজের আদর্শবান গুণীদের কর্মগুণ আগামী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সোনারবাংলা বিনির্মাণে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ (বামসাস)-এর ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরো বলেন, নৃতাত্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য রাষ্ট্র প্রদত্ত সকল অধিকার, সুযোগ সুবিধা দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, বিশিষ্ট লেখক ও দৈনিক সিলেট মিররের সম্পাদক আহমেদ নূর।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সন্দ্বীপ কুমার সিংহ বলেন, গুণীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে দেশ-জাতি উন্নতি লাভ করে। তাই গুনীদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো আমাদের নৈতিক কর্তব্য।

দৈনিক সিলেট মিররের সম্পাদক আহমেদ নূর বলেন, যে সমাজ-দেশ গুণীদের সম্মান দিতে জানে না সে সমাজ-দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। তাই আজকের সংবর্ধিত গুণীদের আদর্শ, জীবনসংগ্রাম সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। মণিপুরী ভাষা-সাহিত্যের পথচলায় দৈনিক সিলেটের মিরর পাশে থাকবে আজীবন।

অনুষ্ঠানে দেশ ও সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, সেবা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট এস সি সিনহা, ডা. কাইয়ুম উদ্দিন ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রাণা কুমার সিনহাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মানিত অতিথিবৃন্দ সংবর্ধিত গুণীদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও উত্তরীয় পরিয়ে, ক্রেস্ট-উপহারসামগ্রী তুলে দেন।

বামসাসের সভাপতি এ কে শেরাম সভাপতিত্বে ও নীহার শর্মার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নামব্রম শংকর। শুভেচ্ছ্য বক্তব্য দেন বিশিষ্ট লেখক আবদুস সামাদ, কবি পুলিন রায়।