বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়ন ও পাশ্ববর্তী এলাকার ঝরাপাতা, জলুয়াখাড়া ও মুড়িয়া হাওর খালে অবৈধ বাঁশের ঘের ও নেটপাটা জাল দিয়ে মাছ শিকার করায় জড়িতদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে প্রশাসন। রোববার দুপুরে ওই তিন খাল থেকে অবৈধ ঘের উচ্ছেদ করে ভ্রাম্যমান আদালত নেটপাটা জাল পুড়িয়ে ফেলেন।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন বিয়ানীবাজার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আক্তার।
ভ্রাম্যমান আদালদের অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাসিবুল হাসান, তিলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ও বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ।
গত ২১ আগস্ট সিলেট ভয়েসে- এ ‘বিয়ানীবাজারের তিন খালে ঘের, দখলে প্রভাবশালীরা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের টনক নড়ে। অবৈধভাবে মাছ শিকারের সাথে যুক্তদের তলব করে প্রশাসন। তাদের কাছ থেকে কোন সদুত্তর না পেয়ে রোববার ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গত জুন মাস থেকে জেলা পরিষদের খতিয়ানভুক্ত ঝরাপাতা খালের একটি অংশ ইজারা নেয়ার কথা বলে উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকার মুজিবুর রহমান অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে ঝরাপাতা খালসহ পাশের জলুয়াখাড়া খাল ও মুড়িয়া হাওর খালে অবৈধ ঘের স্থাপন করেন এবং নেটপাতা জাল দিয়ে মাছ শিকার করে আসছেন। ওই তিনখালে স্থানীয় মৎস্যজীবীসহ শৌখিন শিকারিরা মাছ ধরতে গেলে তাদের বাঁধা প্রদান করা হয় এবং একা থাকলে ঘের মালিকের সহযোগীরা লাঞ্ছিত করেন। এমন অভিযোগ পেয়ে এবং তদন্তে অবৈধ ঘের স্থাপন ও নিষিদ্ধ নেটপাটা জাল দিয়ে মাছ শিকার করার অপরাধে ঝরাপাতা খালের ইজারাদার মুজিবুর রহমানকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা ও আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আক্তার। এ সময় নেটপাটা জাল খাল থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলা হয়। একই সাথে আগামীতে খাল অবৈধভাবে দখল করে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার না করতে সতর্ক করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত খালের পাড়ে তৈরি করা অস্থায়ী ঘরসহ মাছ শিকারের জন্য খালে থাকা সব ধরনের অবৈধ ঘের উচ্ছেদ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আক্তার বলেন, মাছ শিকারের জন্য খাল ইজারা নেয়ার কোন প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি। অবৈধভাবে মাছ আহরণ, মাছের বিস্তারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করায় বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।