কয়েক দফা পিছিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে জেলার প্রথম বর্ডার হাটের। শনিবার (৬ মে) সকালে এই হাটের উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকেই এখানে ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়।
হাটের উদ্বোধন করেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও সিলেটে নিযুক্ত সহকারী ভারতীয় হাইকমিশনার নিরাজ কুমার জয়শওয়াল। এসময় দুই দেশের প্রশাসনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এমন হাটের মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক সম্পর্কোন্নয়নের পাশাপাশি নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
ভারতের মেঘালয়ের ইস্ট খাসি হিলস ও কোম্পানিগঞ্জের ভোলাগঞ্জে অবস্থিত এই বর্ডার হাট প্রতি সপ্তাহে শনিবার ও বুধবার ২ দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। এখানে ভারতের ২৬টি ও বাংলাদেশের ২৪টি স্টল থাকবে। হাটে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হবে এবং হাটের ৫ কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দারা পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ পাবেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং জানান, আবেদনকারী বিক্রেতাদের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে ২৪ জন বিক্রেতা বাছাই করা হয়েছে। পরবর্তীতে অন্যান্য আবেদনকারী বিক্রেতাদেরকে লটারির মাধ্যমে সুযোগ দেওয়া হবে। আবেদনকারী ক্রেতাদের মধ্যে বর্ডার হাট ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরে কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের ভিজিটর কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, একজন ক্রেতা একদিনে সর্বোচ্চ ২০০ ডলারের সমমান টাকার পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। প্রবেশ ফি বাবদ কার্ডধারী একজন ক্রেতাকে দৈনিক ৩০টাকা ও বিক্রেতাকে দৈনিক ৭০ টাকা প্রদান করতে হবে। এ টাকা বর্ডার হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদনক্রমে এই হাটের সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হবে।
বাংলাদেশ-ভারতের বিভিন্ন সীমান্তে বর্তমান ১৩টি বর্ডার হাটের কার্যক্রম চালু রয়েছে। আরও ৩টি বর্ডার হাট চালুর অপেক্ষায় রয়েছে।
২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রসারে সীমান্ত হাট নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের বাংলাদেশ এবং ভারতের জিরো পয়েন্ট (ভারত অভ্যন্তরে) এক একর জায়গার উপর প্রস্তাবিত এই বর্ডার হাটের কাজ শুরু হয়।