‘ভোটে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলের অনুমতি মিলতে পারে’

ভোটের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভোটের পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থানীয় পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা এর অনুমোদন দেবেন বলে জানান সিইসি।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে নির্বাচনে মোটরসাইকেল ব্যবহারে অনুমতির বিষয়ে ইসির অবস্থান জানতে চান। তার জিজ্ঞাসার জবাবে সিইসি এমনটি জানান।

এ বিষয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, নির্বাচনে স্বচ্ছতার জন্য মিডিয়া ও পর্যবেক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা আমরা মার্কিন দূতকে জানিয়েছি। সে প্রসঙ্গে উনি জানতে চেয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি পাবেন কিনা? এর জবাবে বলেছি, এ বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় আছে। স্থানীয় পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ওখানকার অবস্থা বিবেচনা করে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেবেন। আমরাও কেন্দ্রীয়ভাবে এ বিষয়টি পর্যালোচনা করে অবহিত করবো।

পিটার হাস আরপিও সংশোধনের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন উল্লেখ করে কাজী হাবিবুর আউয়াল বলেন, উনিও দেখেছেন, শুনেছেন আরপিও সংশোধনে আমাদের ক্ষমতা কমিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা উনার কাছে ব্যাখ্যা করেছি কীভাবে এটা বাড়ানো হয়েছে। উনি জানতে পেরেছেন, শুনেছেন, এখানকার মোর ভাইব্রেন্ট (সক্রিয়) পলিটিক্যাল পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। যাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে তারা ওইভাবে ভাইব্রেন্ট নয়। এর জবাবে আমরা বলেছি, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে গেলে আমাদের বিধিমালা অনুযায়ী যে ধরনের ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে হয়, আমরা সেগুলো স্ট্রিক্টলি ফলো করেছি। এজন্য অনেক দল নিবন্ধন পায়নি। মাত্র দুটি দল নিবন্ধন পেতে পারে। তারা উপজেলা ও জেলা লেভেলে ক্রাইটেরিয়াগুলো পূরণ করেছে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা একটা জিনিস বলেছি স্পষ্ট করে, নির্বাচনের জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন। যেটা আমরা সবসময় নির্বাচন কমিশন থেকে বলে থাকি। দেশে যে সংকট বিরাজ করছে, তা রাজনৈতিক। সেটার সঙ্গে আমার কর্মের কোনও সংঘাত নেই। এ সমস্যা যদি রাজনৈতিকভাবে সেটেল হয়ে যায়, তাহলে আমাদের জন্য নির্বাচন আয়োজন করা অনেক কমফোর্টেবল হবে, অনেক সহজ হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে যে প্রকট কতগুলো বিষয় রয়েছে, সেগুলো যেকোনও মূল্যে সুরাহা হয়ে যাবে।

সিইসি আশা প্রকাশ করে বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক, যেই স্থিতিশীল পরিবেশে আগামী নির্বাচন সহজ হতে পারে।

সংলাপের ওপর গুরুত্বারোপ করে সিইসি বলেন, আমরা বলেছি, উনারাও বিশ্বাস করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আসলেই সংলাপ প্রয়োজন। সংলাপ ছাড়া সংকটগুলো রাজপথে মীমাংসা করার বিষয় নয়। এটা আমি উনাকে বলেছি। এই কমিশনের পক্ষ থেকে আমি বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক দলগুলোর এক টেবিলে বসা উচিত, একসঙ্গে চা খাওয়া উচিত। তারপরে আলোচনা করে এই সংকটগুলো নিরসনের চেষ্টা করা উচিত।