সিলেট-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেছেন, ‘আমার আসনের জনগণই আমার বড় শক্তি। ভোটাররাই সব ষড়যন্ত্র, অন্যায় এবং সন্ত্রাসী তৎপরতার জবাব দেবেন।’
তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকরা যা খুশি তা-ই করছেন। আচরণবিধি মানছেন না। আমার প্রচারে বাধা দিচ্ছেন। হামলা করছেন। কিন্তু প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। এ অবস্থায় ভোটাররাই এর সমুচিত জবাব দেবেন ইনশাআল্লাহ।’
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বালাগঞ্জ ডিএন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শেষ নির্বাচনী জনসভা ও গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেন, ‘দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জের মানুষ কখনও রক্তচক্ষুকে ভয় পায়নি। সুতরাং ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও তারা রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই ট্রাক মার্কায় ভোট দিয়ে তারা তাদের রায় প্রদান করবেন। ট্রাক মার্কায় ভোট দিয়ে তারা সব অপকর্ম, অপপ্রচার, অন্যায়-অবিচারের সমুচিত জবাব দেবেন।’
ডা. দুলাল বলেন, ‘সরকার দলীয় নৌকার প্রার্থী নির্লজ্জভাবে প্রশাসনকে ব্যবহার করছেন। নির্বাচনী আইনকে তোয়াক্কা করছেন না। ভোটের দিন জনগণের রায়কে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য সন্ত্রাসীদের জড়ো করছেন। নির্বাচন কমিশন সবকিছু দেখেও নীরব ভূমিকা পালন করছে। এ অবস্থায় ভোটাররাই পারেন এই সব ষড়যন্ত্র ও অন্যায়ের সঠিক জবাব দিতে। আমার বিশ্বাস তারা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করবেন না।’
এর আগে, ডা. দুলাল ফেঞ্চুগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও গণসংযোগ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু জাহিদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ আর চৌধুরী সেলিম, মোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম শাইস্তা, পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মাখন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জুনেদ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাদ মিয়া, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল সুনাম, বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, নীলু ভূষণ দে, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এম এ মালেক, দপ্তর সম্পাদক আব্দুশ শহীদ দুলাল, বিশিষ্ট নাট্যকার সাহেদ মোশাররফ (কটাই মিয়া), ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল বারী, সদস্য সচিব সালেহ আহমদ প্রমুখ।