ভূমিকম্প : ২৭৮ ঘণ্টা পর একজনকে জীবিত উদ্ধার

তুরস্কের হাতায় প্রদেশের ডিফনে জেলায় ভূমিকম্পের ২৭৮ ঘণ্টা পরে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে শুক্রবার ৪৫ বছর বয়সী হাকান ইয়াসিনোগ্লুকে উদ্ধার করা হয়

তুরস্কে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ২৭৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পর আরও এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সময়ের হিসেবে যা প্রায় ১২ দিন।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি প্রদেশ থেকে ওই ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক কম্পনের ২৭৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পর শুক্রবার তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায় প্রদেশের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধারকৃত ওই ব্যক্তির নাম হাকান ইয়াসিনোগ্লু।

শুক্রবার তাকে হাতায় প্রদেশের ডিফনে জেলায় ধ্বংসস্তূপের নিচে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল জীবিত অবস্থায় খুঁজে পায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় ১০ দিন পর তুরস্কে অলৌকিকভাবে জীবিত উদ্ধার হন আরও দু’জন ব্যক্তি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানায়, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত আনতাকিয়া থেকে মেহমত আলী সাকিরোগলু (২৬) এবং মুস্তফা আভচি (৩৪) নামের ওই দুই ব্যক্তিকে ২৬০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দু’জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে ইকিনচি থেকে ২৬০ ঘণ্টার মাথায় ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে ওসমান হালেবিয়ে নামে ১২ বছর বয়সী এক বালককে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এছাড়া ২৫৮ ঘণ্টার মাথায় কাহরামানমারাস থেকে নেসলান কিলিক নামের ২৯ বছর বয়সী এক নারীকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছিল তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উদ্ধারের পর নেসলাম কিলিকের অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি কথা বলতে পারছেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল তুরস্কেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। আহত হয়েছেন আরও লাখ লাখ মানুষ।