অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে আরিফুল ইসলাম আর আহরার আমিনের ১৩৮ রানের জুটিতে ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল টাইগার যুবারা। ৪ উইকেট আর ৪৩ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুবাইতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪২ ওভার ৪ বলে ১৮৮ রান তুলে অলআউট হয়েছে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন অভিষেক। বাংলাদেশের হয়ে ৪১ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন মারুফ।
টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিলো বংলাদেশ। টস জিতে ফিল্ডিং-এ নেমে পেসার মারুফ মৃধার তাণ্ডবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে ভারতীয় টপ অর্ডার। অলআউট হয়েছে মাত্র ১৮৮ রানে।
প্রথম ওভারেই ভারতীয় শিবিরে আঘাত হানেন পেসার মারুফ মৃধা। দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে পরাস্ত করে প্যাভিলিয়ানে পাঠান ভারতীয় ওপেনার আদর্শ সিং-কে। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই ওপেনার।
নিজের পরের ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আবারও মারুফের আঘাত। এবার তার শিকার অপর ওপেনার আর্শিন কুলকার্নি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১ রান।
নিজের চতুর্থ আর ইনিংসের সপ্তম ওভারে এসে আবারও সেই পুরনো মারুফ। ওভারের তৃতীয় বলে ভারতী কাপ্তান উদয় শাহারানকে উইকেট কিপারের ক্যাচ বানান। ১০ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
এরপর শচিন দাস ও প্রিয়াংশুর ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শচিন ১৬ ও প্রিয়াংশু ১৯ রান করে ফিরেছেন। এ দুজনকে ফেরান বর্ষণ।
সাতে নেমে আরভেলি অভানিষ শূণ্য রানে রান আউট হয়ে ফিরে গেলে ৬১ রান তুলতেই শুরুর ৬ উইকেট হারায় ভারত।
এরপর খানিকটা প্রতিরোধ গড়েন মুসের ও আভিষেক। সপ্তম উইকেট জুটিতে এই দুইজন মিলে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। মুসের ৫০ রান করে আউট হলে ভাঙে ৮৪ রানের জুটি। আর আভিষেক ফিরেছেন ৬২ রান করে। তার বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ টিকেনি ভারতের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে ৪১ রানে ৪ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার মারুফ মৃধা। তাছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রুহানাতদৌলা বর্ষণ ও শেখ জীবন।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে টাইগার যুবারা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কোনো রান না করে ফিরে যান ওপেনার জিশান। অপর ওপেনার শিবলি আর তিনে নামা রিজওয়ানও তেমন সুবিধা করতে পারেন নি। দলীয় ২১ রানের মাথায় ১৩ করে ফেরেন রিজওয়ান। আর শিবলি করেন ৯ রান।
তবে শিবলির আউটের পর আরিফুল ইসলাম আর আহরার আমিনের জুটিতে বাংলাদেশকে লক্ষ্যের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছিলেন। দুজনে মিলে গড়েছেন ১৩৮ রানের জুটি। জয় থেকে মাত্র ১৭ রান দুরে থাকতে আউট হন আরিফ। এর আগে ৯০ বলে ৯৪ করেন তিনি। এরপর দলীয় ১৮৪ রানে শিহাব জেমস আর ১৮৭ রানে আহরার আমিন সাজঘরে ফেরেন। ১০১ বলে ৪৪ রান করেন আহরার।
ভারতের পক্ষে ৯ ওভার বল করে ৩৫ রান খরচায় তিন উইকেট নেন নমন তিওয়ারি।