ভারতে সীমান্তে ঢুকেও শেষরক্ষা হলো না সাবেক বিচারপতি মানিকের

টকশোতে সঞ্চালকের সাথে দুর্ব্যবহার করে সমালোচিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা দনা সীমান্ত এলাকা দিয়ে গোপনে দেশত্যাগ করে ভারত সীমান্তের অভ্যন্তরে ঢুকলেও শেষরক্ষা হয়নি।

স্থানীয়দের সহায়তায় সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। তাকে বর্তমানে সীমান্তবর্তী দনা ক্যাম্পে রাখা হয়েছে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়ে বিজিবি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিনের কোন এক সময় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে দনা সীমান্ত এলাকা পাড়ি দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। পরে সেখানে তাকে স্থানীয় কিছু লোকজন আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তার নাম শামসুদ্দিন মানিক পরিচয় দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে তাকে কলাপাতায় শুয়ে থাকতে দেয়া যায়। এ সময় তাকে বলতে শোনা গেছে যে টাকা লাগলে তিনি দিবেন। “আমি এদেশে এত কষ্ট করে এসেছি কি বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার জন্য?”

স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন এবং স্থানীয় আরো কয়েকজনের সাথে আলাপকালে জানা যায়, দনা পাতিছড়া গ্রামের রফিকুল হোসেনের ছেলে সাদ্দামের সহায়তায় অবৈধভাবে শুক্রবার বিকেলের দিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মানিক। তবে সীমান্তেই তাকে আটক করে স্থানীয়রা। ভারতের অভ্যন্তর থেকে ফিরিয়ে দেশের সীমানায় আনা হলে বিজিবির সদস্যরা তাকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যান।

স্থানীয়রা জানান, সাদ্দাম হোসেনের বসত বাড়িটি বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তঘেষা। সে ভারতে অবৈধভাবে বিভিন্ন সময়ে অনুপ্রবেশ করে থাকে বলে জানা গেছে। তার সহযোগিতায়ও অনেকে সীমান্ত অতিক্রম করেন।

রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দনা বিজিবি ক্যাম্পের হেফাজতে থাকা দেশের সমালোচিত সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিককে দেখতে শত শত মানুষ ক্যাম্পের পাশে ভিড় করছেন।

বিজিবির জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার মো. আসাদুন্নবী বলেন, ‘ভারত অনুপ্রবেশের সময় তাকে আটক করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’